বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যবস্থাপনা ও আমাদের করণীয়
এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাংলাদেশ যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, উৎপাদন, পশুপালন, মৎস্যচাষ, প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে পশ্চিমা অনেক দেশই বিস্মিত। আশেপাশের অনেক দেশই তাদের নিজেদের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়নের মডেল অনুসরণ করতে ব্যস্ত।
এই উন্নয়নকে টেকসই করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষার মানোন্নয়ন। কারণ, একটি দেশের মেরুদণ্ড শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তার শিক্ষা ও এর সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যে কয়েকটি সমস্যা সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে শিক্ষার অব্যবস্থাপনা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাপনায় এই মুহূর্তে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সম্প্রতি ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত (০২ আগস্ট ২০২২) একটি সংবাদে উঠে এসেছে, ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এই তিনটি পদই শূন্য। তবুও সমাবর্তন আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়, যদিও সমাবর্তনের আগের দিন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। সমাবর্তন স্থগিত হলেও অনেক শিক্ষার্থী বিষয়টি সম্পর্কে জানতেও পারেনি। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শুধু টাকার জন্য তড়িঘড়ি করে সমাবর্তন আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ঢাকার আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টাকায় ট্রাস্টিদের গাড়ি-বিলাসের ঘটনাও গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এর বাইরে সার্টিফিকেট জালিয়াতির সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।