ধর্ষণ থেকে বাঁচতে সুপ্তা চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দেয়!
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি সড়কের ফরিদপুর এলাকায় সুপ্তা রাণী দাশ (৩০)-এর মৃত্যুর রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। তবে তার পরিবার বলছে সুপ্তাকে সিএনজি চালক মতিন মিয়ার সহায়তায় অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সুপ্তা সিএনজি থেকে ঝাঁপ দেয়। এর আগেই অপহরণকারীরা তাকে গুরুতর জখম করে। এ ব্যাপারে সুপ্তার বাবা পবিত্র দাশ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
পবিত্র দাশ বলেন, প্রতিদিন সকাল বেলা সুপ্তা বাড়ি থেকে শায়েস্তাগঞ্জে গিয়ে সেখান থেকে ইজিবাইক বা সিএনজিতে করে তার কর্মস্থল নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জের কিছু বখাটের জানা থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্তা যে সিএনজিতে ওঠে সেই সিএনজিতে পূর্ব থেকেই কয়েকজন বসা ছিল। তাদের সঙ্গে ওই সিএনজির চালক চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজী গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে মতিন মিয়ার যোগসাজস ছিল। সিএনজিটি কিছুদূর যাওয়ার পর সিএনজির যাত্রীরা সুপ্তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার স্কুল অতিক্রম করে রঘুনন্দন পাহাড়ের দিকে চালক সিএনজিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।