‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরি’
বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে বাংলা ও বাঙালি যে পরম ঈর্ষাকাতর তা বুঝতে খুব বেশি গবেষণার প্রয়োজন নেই। সুস্থ, স্বাভাবিক ও সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ মাত্রই সেই অনুভূতি বুঝে ফেলেন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ যেখানেই যা সৃজিত বা আবিষ্কৃত হোক; বাংলাদেশের ভোক্তা হিসেবে সবই হাতে হাতে পেয়ে যাচ্ছে মানুষ। এসব বিষয় নিশ্চয়ই উট দিয়ে কিংবা হাঁটা পথে বহন করলে এত দ্রুত হাতে হাতে পৌঁছানো সম্ভব হতো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক ব্যবসার অংশীদারিত্বের সুবাদে সুফল মিলছে।
তবে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গ্রহণে অসুবিধাও আছে। এটি খুবই সাধারণ ব্যাপার। ধরা যাক, আপনি একটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক অংশীদারে আছেন। সেই দেশ কিংবা তার আশেপাশে আঘাত এলে স্বাভাবিকভাবে সেই আঁচ আপনার গায়েও লাগবে। আরেকভাবে বলা যায়, এ বিষয়টি একটি ঘরের জানালার মতো। জানালা খুলে রাখলে যেমন গরমে স্বস্তি মেলে, তেমনই ঝড়-বৃষ্টি সেটি বন্ধ রাখতে হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট তেমনই একটি পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে, যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের খরচ কমিয়ে আনাসহ বৈদ্যুতিক সাশ্রয়ে মনোনিবেশ করেছে। স্বভাবতই বাঙালির শান্ত সাহস শেখ হাসিনা সেই আলোকে দেশে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অফিসের সময়সূচি কিছুটা বদল, ঘড়ির কাঁটা ধরে লোডশেডিং, সরকারি ব্যয় কমিয়ে আনা ইত্যাদি। ট্র্যাজেডি হলো, এসব উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন রঙে বিদ্রুপ করার প্রবণতা দেখা গেছে। উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা চলেছে জনমনে।