দাম ও গোলকধাঁধা একই সঙ্গে বাড়ল কি
জ্বালানি তেলের রেকর্ড পরিমাণ দাম বৃদ্ধি শনিবার থেকে কার্যকর করা হয়েছে। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ। লিটার প্রতি ৮০ থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। দাম বৃদ্ধির এই হার প্রায় ৪২ শতাংশ। প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৮৬ থেকে ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৮৯ থেকে করা হয়েছে ১৩৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
জ্বালানি এমন একটা বিষয় যার সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সবকিছু নিবিড়ভাবে জড়িত। ফলে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া মানেই সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে বাস মালিক সমিতি। তাদের সম্পর্কে জনগণের মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা বোঝার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা শুক্রবার রাতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবার অনুমান ছিল, কাল ইচ্ছা করেই বাস মালিক সমিতি রাস্তায় গাড়ি কম নামাবে। ব্যাপারটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে, যাতে মনে হবে হরতালও না, আবার হরতালও। বাস্তবে পরের দিন তেমনটাই হয়েছে এবং বাস ভাড়া বেড়েছে। অভিজ্ঞতা বলে, প্রতিবারই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি হলে সবার আগে বেড়ে যায় বাস ভাড়া এবং সেটা যেভাবে বাড়ানো যৌক্তিক তার চেয়ে বেশিই বাড়ানো হয়। অথচ বাস মালিক সমিতি যাত্রীসাধারণের সুযোগ-সুবিধা উন্নত ও নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার পদক্ষেপ নেন বলে আজ অবধি নজির মেলেনি।