![](https://media.priyo.com/img/500x/https://assets.telegraphindia.com/abp/2022/Aug/1659916767_politics.jpg)
বিরোধী ঐক্য
ধর্মক্ষেত্রে দুই সেনাদলের মধ্যে রথ সংস্থাপনের যে অনুরোধ অথবা নির্দেশ অর্জুন জানিয়েছিলেন, সেটি পালন করতে পার্থসারথির কোনও সমস্যা হয়নি, কারণ যুযুধান দুই পক্ষ আপন অবস্থানে সুসংহত ছিল।সে দ্বাপরও নেই, সেই ধর্মযুদ্ধও নেই। ভারতীয় রাজনীতির কুরুক্ষেত্রে সীমানা বদল হয়— কেবল মধ্যরাতে নয়, অহোরাত্র।
আবার আপাতদৃষ্টিতে বিরোধী শিবিরে থেকেও শাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে নানা ধরনের প্যাঁচপয়জার চলতে থাকে। তার উপরে আছে সর্বভারতীয় রাজনীতির সঙ্গে রাজ্য স্তরের রাজনীতির টানাপড়েন, যার মধ্যে আন্দোলিত হতে-হতে এক-একটি দল এক-এক সময় ঠিক করতে পারে না, কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তারা কী অবস্থান নেবে, তখন ‘বড় বিপদ’ আর ‘ছোট বিপদ’-এর তুল্যমূল্য বিচার চলে। সাম্প্রতিক অতীতে পশ্চিমবঙ্গ এমন সূক্ষ্মবিচার বিস্তর দেখেছে।
ছবিটা কি বদলাচ্ছে? সেই পরিবর্তন কি স্থায়ী হতে পারে? গত কয়েক দিন ধরে একটি প্রশ্নে বিরোধী দলগুলির মধ্যে কিছুটা সমন্বয়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। প্রশ্নটি নতুন নয়, তবে সহসা সেটি নতুন করে প্রবল আকার নিয়েছে। বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই বা ইডি-র ‘রাজনৈতিক অপব্যবহার’-এর অভিযোগ উঠেছে নানা দিক থেকে। বিশেষত, সনিয়া ও রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের এই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে— এমন অভিযোগ ক্রমশই জোরদার। প্রতিবাদী বিক্ষোভ সমাবেশ ইত্যাদির পাশাপাশি অতি সম্প্রতি ১৭টি বিরোধী দল একযোগে ইডি-র যথেচ্ছাচারের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে।