কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অন্যায়ভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে, আমরা আতঙ্কিত

প্রথম আলো এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৮:৩৮

বিষয়টা আদর্শিকভাবে আমরা বুঝতে চাই, সরকারের সব কর্মকাণ্ড জনগণের বা ভোক্তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করবে এবং তাদের স্বার্থের অনুকূলে থাকবে বা সাংঘর্ষিক হবে না। এই মানদণ্ডে হিসাব করলে এভাবে জ্বালানির বেপরোয়া ও ক্ষমতাবহির্ভূতভাবে মূল্যবৃদ্ধিতে আমরা হতবাক। আমরা বিশেষভাবে অনুধাবন করেছি, উত্তরোত্তর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি—এর আগে জ্বালানি তেলের প্রতি লিটারে ১৫ টাকা মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিও অপেক্ষাধীন—এর মধ্যে জ্বালানি তেলের প্রায় ৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিতে সরকারের একটি অবিশ্বাস্য চারিত্রিক দিক ওঠে এসেছে। যার মধ্য দিয়ে বলা যায়, সরকার এখন আর জনগণের কল্যাণ নিয়ে ভাবে না। কারণ, সরকারের ভেতরে অসাধু একটি ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি কাজ করছে। এতে আমরা অনেক বেশি আতঙ্কিত ও হতভম্ব।


সরকার বলছে, তারা নিরুপায় হয়ে জ্বালানির এ মূল্যবৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় দেখতে পেলাম, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যে ঋণ প্রদানে সম্মত হয়েছে, সেখানে সরকারের ঘাটতি কমিয়ে আনার শর্ত আরোপ করেছে। আমরাও তো চাই ঘাটতি কমাতে। আমরা বলেছি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, এলএনজি, এলপিজি—সব ক্ষেত্রে সাপ্লাই পর্যায়ে উৎস থেকে শুরু করে একেবারে ভোক্তার পর্যায় পর্যন্ত যেখানে যত রকমের অপচয় আছে, লুণ্ঠনমূলক ব্যয় আছে, অন্যায় ও অযৌক্তিক ব্যয় সংযোজন আছে—সবকিছু থেকে এ খাতকে মুক্ত করলে অনিবার্যভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ঘাটতি কমে যায়।


আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ঘাটতি কতটা এবং তা কীভাবে সমন্বয় করা যায়, সে জন্য এই পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রই সংসদীয় আইন দ্বারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সেই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। সেই প্রতিষ্ঠানকেই এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, জ্বালানি বিভাগকে নয়। এখন জ্বালানি বিভাগের কেন উপযাচক হয়ে তড়িঘড়ি করে বেপরোয়াভাবে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন হলো, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তা-ও যে মুহূর্তে আমরা দেখতে পারছি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, পেট্রল-অকটেন আমরা উৎপাদন করি। চাহিদা পূরণে সেই উৎপাদিত পণ্যই যথেষ্ট; অর্থাৎ পেট্রল-অকটেন আমদানি করা হয় না। তার মানে, এলপিজি মূল্যের ক্ষেত্রেও আমরা বলতে পারি, যে অংশ নিজস্বভাবে উৎপাদন করা হয়, সেটির প্রতি সিলিন্ডারের মূল্য ৬০০ টাকা বহাল আছে। অথচ আমদানি করা সিলিন্ডার গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ২০০-১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে যায়।


অন্যদিকে নিজস্ব উৎপাদনেরটা ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। এর সঙ্গে যদি তুলনা করি, তাহলে পেট্রল-অকটেনের মূল্যবৃদ্ধি করে যে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তা কী করে গ্রাহ্য হয় বা ন্যায্য বলে মেনে নেওয়া যায়। আর যেখানে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে গেছে এবং ক্রমে কমছে, সে সময় বলা হলো ঘাটতি সমন্বয় করতে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বৈশ্বিকভাবে যে পরিমাণ দাম কমেছে, তা কি মূল্যবৃদ্ধিতে সমন্বয় করা হয়েছে?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও