বিশ্বব্যাপী ডলার সংকটের নেপথ্য কারণ
মার্কিন ডলার বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশাল মুদ্রা। এটি বর্তমান বিশ্বের প্রধান ‘রিজার্ভ মুদ্রা’। বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রায় ৯০ শতাংশ মার্কিন ডলারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের কাগুজে ও ধাতব মুদ্রা ছড়িয়ে আছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মার্কিন ডলার প্রায় অপরিহার্য।
প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই টালমাটাল বিশ্ব পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়ছে, নিত্যপণ্যের দাম চলে যাচ্ছে হাতের নাগালের বাইরে। হঠাৎ আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় টান পড়েছে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হচ্ছে কোনো দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা লেনদেনযোগ্য বিদেশী মুদ্রার মজুদ। বেশির ভাগ দেশই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসেবে মার্কিন ডলার হাতে রাখে। এছাড়া ইউরোপের একক মুদ্রা ইউরো, চীনা রেনমিনবি, জাপানি ইয়েন, ব্রিটিশ পাউন্ড, সুইস ফ্রাঁও জমা রাখা হয়। এর সঙ্গে স্বর্ণের মজুদ, স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস (এসডিআর) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) রিজার্ভ পজিশনও হিসাবে ধরা হয়।