নিজেদের ভাবমূর্তিতে কালি না লাগলেই নেতারা ‘নিরাপদ’

আনন্দবাজার (ভারত) প্রেমাংশু চৌধুরী প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০৬:২৯

শিক্ষামন্ত্রী নন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই জেলে যেতে হল। পশ্চিমবঙ্গ নয়, হরিয়ানার কথা বলছি। ২০১৩ সালের কথা। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের সুপ্রিমো ওমপ্রকাশ চৌটালা, তাঁর পুত্র অজয় চৌটালা, তিন সরকারি অফিসারকে বিশেষ সিবিআই আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দিল।


অপরাধ? চৌটালা মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় হরিয়ানায় তিন হাজারের বেশি জুনিয়র বেসিক শিক্ষককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।জাঠ নেতা ওমপ্রকাশ চৌটালা যেমন-তেমন রাজনীতিক ছিলেন না। দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী চৌধরি দেবী লালের পুত্র। পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী। শেষ বার মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ই শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও লাভ হয়নি। সাজা বহাল ছিল। চৌটালা জেলে গেলেন।


তাঁর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল ওরফে আইএনএলডি-র পতনও শুরু হল। জেল খেটে বছরখানেক আগে তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়েছেন চৌটালা। এই এক দশকে হরিয়ানা বিধানসভায় আইএনএলডি-র বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ১-এ নেমে এসেছে।


আইএনএলডি-র ভাগ্যাকাশে সূর্যাস্ত হলেও চৌটালার নাতি দুষ্যন্ত চৌটালা এখন হরিয়ানা সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি আইএনএলডি থেকে বেরিয়ে জননায়ক জনতা পার্টি নামে নতুন দল গড়েছিলেন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে যোগ দিয়েছেন। বাপ-ঠাকুরদা শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করে জেলে গেলেও, দুষ্যন্ত নিজের গায়ে তার কালি লাগতে দেননি। উল্টে নিজের তরুণ, শিক্ষিত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও