মানব পাচারে প্রযুক্তির ব্যবহার ও অপব্যবহার
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রতি বছর ৩০ জুলাই সারা বিশ্বে ‘মানব পাচারবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিবসটির উদ্দেশ্য পাচারেরর শিকার মানুষদের অধিকার সুরক্ষা ও প্রচার করা। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার’। এই বছরের থিম প্রযুক্তির ভূমিকাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ফোকাস করেছে, যা মানব পাচারে সহায়ক ও বাধা হিসেবে কাজ করতে পারে।
ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (UNDOC) উল্লেখ করেছে যে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণ এবং কোভিড-১৯ মহামারিতে এর ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে আমাদের দৈনন্দিন জীবন এখন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরিত হয়েছে- মানব পাচারের অপরাধ সাইবার স্পেসকে জয় করেছে। ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো পাচারকারীদের পাচারের যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ, শোষণ এবং পাচারের শিকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অসংখ্য সরঞ্জাম (Tools) সরবরাহ করে; তাদের পরিবহন এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করে; পাচারের শিকার মানুষের বিজ্ঞাপন এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছান; অপরাধীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এবং অপরাধমূলক আয় লুকান- এবং এই সব কিছু দ্রুত, কম খরচে এবং পরিচয় গোপন রাখতে সহায়তা করছে।