কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কর্মশালায় কর্মকর্তারা, বাইরে তাঁদের গাড়ি চালকদের এসি বিলাস

www.ajkerpatrika.com রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ২০:১৮

কর্মকর্তাদের গাড়ি সারি সারি দাঁড়িয়ে। একটুও নড়ছে না। কিন্তু ইঞ্জিন চলছে। কাছাকাছি গেলেই ইঞ্জিনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। ভেতরে চলছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি)। গাড়িতে কোনো কর্মকর্তা নেই। চালকদের কেউ আয়েশ করে ঘুমাচ্ছেন। কেউ আসনে বসে ঝিমাচ্ছেন।


বৈশ্বিক সংকটের কারণে সরকারের তরফ থেকে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানো। কিন্তু রাজশাহীতে আজ বৃহস্পতিবার এভাবে চালকদের এসি বিলাস দেখা গেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কর্মশালায় কর্মকর্তারা এসেছিলেন। বাইরে চালকেরা গাড়ির ইঞ্জিন চালিয়ে এসি উপভোগ করছিলেন। যদিও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বেশিরভাগ সভা অনলাইনে করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।


কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। ঢাকা থেকে এসেছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রত্যেক অধিদপ্তর ও দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা এসেছিলেন এ কর্মশালায়। ঢাকা ও উত্তরের ১৬ জেলা থেকে সব মিলিয়ে শতাধিক গাড়ি এসেছিল সেখানে। এর মধ্যে অন্তত ৩০টি গাড়ির চালকদের ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে এসি ছেড়ে রাখতে দেখা গেছে। 


সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এ কর্মশালা। কর্মশালা যতক্ষণ চলেছে ততক্ষণই গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট রেখে ভেতরে বসে ছিলেন অনেক চালক। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।


ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে এসি ছেড়ে বসে ছিলেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্ল্যান ব্রিডিং প্রধানের গাড়িচালক মানিক মৌয়ালী। গাজীপুর-ঠ ১১-০০৫৩ নম্বরের এই গাড়ির চালকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘একটু ঠান্ডা হওয়ার জন্য এই এখনই দিলাম।’ 


ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে বসেছিলেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার গাড়িচালক মো. জুয়েল। ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৬২১৭ নম্বরের গাড়িটির এই চালক বলেন, ‘খুব গরম লাগছিল। তাই পাঁচ-দশ মিনিট ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে একটু এসি চালাচ্ছি।’


গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৭০৪৯) না চললেও ইঞ্জিন স্টার্ট দিয়ে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালকের চালক মো. রাহী বলেন, ‘এসি ঠিক আছে কি না টেস্ট করে দেখলাম!’ 


ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৬১৯১ নম্বরের গাড়িটিও ইঞ্জিন স্টার্ট রাখা ছিল। জানালা দিয়ে দেখা গেল ভেতরে চালক ঘুমাচ্ছেন। ডেকেও তাঁর সাড়া পাওয়া গেল না। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের গাড়িটির (ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৩৬৭৯) চালক মহসীন আলী বললেন, ‘মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে। চার্জ দিতে ইঞ্জিন স্টার্ট দিলাম। তাই এসিটাও ছাড়লাম।’ 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও