'মানসম্মত হেলমেট মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে ৪২ শতাংশ'

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২, ১৮:২১

মোটরসাইকেলে সময় ও খরচ উভয়ই বাচে। তবে জীবন থাকে ঝুঁকিতে। সেই ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় যদি হেলমেট ব্যবহার করা হয়। হেলমেটের মূল কাজ হচ্ছে যেকোনো আঘাত থেকে মাথাকে রক্ষা করা। শুধু চালক নন, চালকের সঙ্গে আরোহী হয়ে যিনি বসবেন তার মাথাতেও হেলমেট থাকাটা আবশ্যক। আসলে শুধু নিয়ম বলে নয়, নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্যই হেলমেট জরুরি। তাই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনারোধে চালক ও আরোহীদের মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের বিকল্প নেই।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যনুসারে, হেলমেট ব্যবহার দুর্ঘটনার মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে পারে ৪২ শতাংশ এবং মারাত্মক আঘাতের ঝুঁকি কমায় ৬৯ শতাংশ। তাই হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা জরুরি। অনেকেই আছেন যারা শুধু পুলিশের মামলা থেকে বাঁচতে হেলমেট ব্যবহার করেন। আর এ কারণে অনেকেই নামমাত্র দামে খুবই নিম্নমানের হেলমেট ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না মামলার থেকে রক্ষা পেলেও নিজের জীবনকে তারা ঝুঁকিতে ফেলছেন। কেননা একটি ভালো মানের হেলমেট দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর জীবন বাঁচিয়ে দিতে সক্ষম।


মালয়েশিয়ায় হেলমেট আইন প্রণয়নের ফলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ইতালিতে হেলমেট ব্যবহার সংক্রান্ত আইন প্রণয়ণ এবং বাস্তবায়নের ফলে হেলমেট ব্যবহার ১৯৯৯ সালে ২০ শতাংশ থেকে ২০০১ সালে ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক হেলমেট ব্যবহার প্রয়োগের ফলে দুর্ঘটনায় দুই চাকার ব্যবহারকারীদের মধ্যে আহতদের সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হ্রাস পায়।


বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, দেশে মোটরসাইকেল চালক তরুণ সমাজই অধিকাংশ দুর্ঘটনার শিকার হয়। সড়ক দুর্ঘটনার ৩২ শতাংশ ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী। ২০২০ সালে মোট ৩ হাজার ৫৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনার মধ্যে ৩০ শতাংশ দুর্ঘটনাই ঘটে মোটরসাইকেলের জন্য। মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করলে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুঝুঁকি কমবে, তেমনি দেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সড়কে আগের তুলনায় মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার তুলনামূলক বেড়েছে।


সড়কে ব্যাপক হারে মোটরসাইকেল বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের প্রতি কেউ সচেতন হননি। এবং নিজেদেরকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারছেন না। বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিডেন্ট রিচার্চ ইনস্টিটিউটের জরিপ বলছে, প্রতি মিনিটে ঢাকায় একজন মোটরসাইকেল চালক ছয়বার পর্যন্ত লেন পরিবর্তন করে। সেই হিসেবে ১০ মিনিটে ৬০ বার পর্যন্ত লেন পরিবর্তন করে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও