আমদানির ওপর খড়্গ, আত্মঘাতী হচ্ছে কি

দৈনিক আমাদের সময় ড. কাজল রশীদ শাহীন প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৪

আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত- আমদানি ও রপ্তানির ওপর খড়গ তোলারই শামিল বলে বিবেচিত হওয়ার নয় কী। ইতোমধ্যে এই নিয়ে দুটো পক্ষ হাজির করেছে তার বয়ান, সঙ্গে যুক্তিও রয়েছে। কিন্তু এসব যুক্তি কতটা সুবিবেচনাপ্রসূত এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল ও অভিজ্ঞতাঋদ্ধ তা নিয়ে রয়েছে সংশয় ও সন্দেহ। কেননা আমদানি কমলে ডলারের হয়তো কিছুটা সাশ্রয় হবে, কিন্তু রপ্তানি বাঁচবে কি? মনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের দেশের আমদানির সঙ্গে রপ্তানিরও রয়েছে নিবিড় যোগ। ফলে আমদানি কমাতে গিয়ে যদি রপ্তানি বাণিজ্যকেও কোণঠাসা করে ফেলা হয়, তা হলে আখেরে পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর-দুর্বিষহ ও লেজেগোবরে অবস্থার হয়ে উঠতে পারে, তা হয়তো এই মুহূর্তে আমরা ঠাহর করতে পারছি না।


বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনে হচ্ছে, জ¦ালানি, কাঁচামাল ও খাদ্য ছাড়া অন্যকিছু আমদানির ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নানা ধরনের দরকষাকষি হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প-বাণিজ্য-অর্থ মন্ত্রণালয়সহ ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে। কিন্তু এবার সেসবের কিছুই না হওয়ায় এবং হঠাৎ করে একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় বিষয়টা সবিশেষ চিন্তাযুক্ত বৈকি। আমদানির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তে ডলার কিছুটা বাঁচলেও রপ্তানিতে যে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে, সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে কি? আমাদের রপ্তানিও যে আমদানিনির্ভর সেটা কি বেমালুম ভুলে গেলাম আমরা। আবার রপ্তানিতে যদি সংকট তৈরি হয় কর্মসংস্থানেও যে তার প্রভাব পড়বে, তা তো বলা বাহুল্য। সবমিলিয়ে আমদানির ওপর খড়গ পুরো অর্থনীতির জন্য অকল্যাণ-দুর্যোগ ও শঙ্কা বয়ে আনে কিনা তা নিয়ে ভাবা জরুরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও