কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অর্থনীতির পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার রাজনীতির সংকট কাটবে কি

প্রথম আলো শ্রীলঙ্কা কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২২, ১৪:৫২

শ্রীলঙ্কায় অভ্যুত্থানের পরিণতিতে সরকার বদল হয়েছে, নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থান যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁরা তাঁকেও চান না। গণরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকে যেমন আন্দোলনকারীরা চান না, তেমনই তাঁরা রনিলকেও চান না। আন্দোলনকারীরা তাঁদের অর্থনৈতিক দুর্ভোগ ও দেশের দৈন্যদশার জন্য উভয় নেতা ও তাঁদের রাজনীতিকদের দায়ী করছেন। স্পষ্টত, অর্থনীতি ভেঙে পড়ার কারণে আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটলেও তার উৎস রাজনীতির গভীরেই প্রোথিত। রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো সংকট মোকাবিলায় যেমন কোনো পথ দেখাতে পারেনি, তেমনই শ্রীলঙ্কাবাসীর মনের ভাষাও বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণে যে শিগগিরই পরিস্থিতির লক্ষণীয় উন্নতি হবে, সে কথা কেউই জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার হবে কি না, হলে কত দিনে এবং কীভাবে হবে, সেসব প্রশ্নের উত্তর এখন অজানা।

রাজনৈতিক সংকটকে অনেকেই গোতাবায়ার অপশাসন ও কর্তৃত্ববাদের ফল হিসেবে বর্ণনা করে চলেছেন। অথচ এই অপশাসন ও কর্তৃত্ববাদের উৎস হচ্ছে দেশটির স্বাধীনতার পর ধারাবাহিকভাবে জাতিতান্ত্রিক হয়ে ওঠা, যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি জাতির হাতে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা কেন্দ্রীভূত হয়েছে এবং সংখ্যালঘুরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছে। ওই সংখ্যাগুরু সিংহলি জাতীয়তাবাদের একটি ধর্মীয় মাত্রাও আছে, যা বৌদ্ধধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই অন্য সংখ্যালঘুদের অবদমন ও সংখ্যাগুরু সিংহলিদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার পালা শুরু হয়। শ্রীলঙ্কা যে পতাকা নির্বাচন করে, তাকে সিংহলি শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হয় উল্লেখ করে ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক নিল ডেভোটা ফরেন পলিসি সাময়িকীতে লিখেছেন, তলোয়ার হাতে সিংহ হলো সংখ্যাগুরুর সাহসের প্রতীক, যার মুখোমুখি থাকা ডোরাকাটা ফিতাগুলো হচ্ছে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো।


১৫ শতাংশ তামিল ও ১০ শতাংশ মুসলমান নানাভাবে বঞ্চিত হতে থাকে। ১৯৫৬ সালেই প্রেসিডেন্ট এস ডব্লিউ আর ডি বন্দরনায়েকে সিংহলিকে একমাত্র জাতীয় ভাষার স্বীকৃতি দেন। মাত্র ১৫ বছর পর দেখা যায়, তামিলদের প্রতিনিধিত্ব সরকারি চাকরিতে ৩০ থেকে ৫ শতাংশে এবং সেনাবাহিনীতে ৪০ থেকে ১ শতাংশে নেমে যায়। বৈষম্য শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে সিংহলিদের চেয়ে তামিলদের জন্য বেশি নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও