দৈর্ঘ্য বাড়ানোয় মেট্রো রেলের খরচ-সময় দুটোই বাড়ছে
মেট্রো রেলের দৈর্ঘ্য আরও বাড়িয়ে প্রকল্প সংশোধনের নতুন প্রস্তাবে ৫০ শতাংশের বেশি খরচ বাড়ছে। পাশাপাশি নির্মাণ কাজ শেষ করার সময় বাড়ছে দেড় বছর।
প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ।
ঢাকায় প্রথম মেট্রো রেল স্থাপনে চলমান এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা আছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবে প্রায় ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। ফলে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এতে খরচ বাড়ে ৫২ শতাংশ।
প্রকল্পটিতে দ্বিতীয়বারের মতো এই সংশোধনী প্রস্তাবে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার অংশ যোগ করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে এবছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত অংশ চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
প্রকল্পের ব্যয় ৫২ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন বলেন, “এবার যে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে তা মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার সম্প্রসারণ লাইনের জন্যই বাড়ছে।”
তবে প্রকল্পটির অতিরিক্ত এই ব্যয় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নতুন প্রস্তাবিত সম্প্রসারণ অংশের জন্য ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি- পিইসি সভায় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন।
“পরে দেখা যায়, এই সংশোধনীতে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন নিয়ম করেছে যে, এখন থেকে বড় বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে সুদ প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যবস্থায় ঋণের সুদ প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সমন্বয় করা হবে।
“যেমন এই প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধেও ১৫২ কোটি টাকা এবং সরকারি কোষাগারে শুল্ক পরিশোধ বাবদ বেড়েছে ২ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এসব মিলেই আসলে ব্যয় বেড়েছে।”