কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কিছু মানুষের পকেট ভারী করতে গিয়ে জ্বালানিসংকট

প্রথম আলো এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২, ১৩:০৯

অধ্যাপক এম শামসুল আলম। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা। জ্বালানিসংকটের কারণ ও দায় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে।


এম শামসুল আলম: জ্বালানি খাতে এখন যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অসম এবং সামঞ্জস্যহীন। কিন্তু আমরা বলেছি, টেকসই উন্নয়ন হতে হবে। টেকসই উন্নয়ন হলে ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ই লাভবান হবে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছেমতো ব্যয় বাড়াল। আবার এসব প্রতিষ্ঠানকে বলে দেওয়া হলো এত ভাগ লাভ করতে হবে। ফলে সেই লাভ ধরে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়ানো হলো। ভোক্তা দুই দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ২০১০ সালে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালের নামে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ করে দেওয়া হলেও সেখানে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ ছিল না। বিশেষ গোষ্ঠী এ সুযোগ পেয়েছে। প্রথমে আইনটি করা হয়েছিল দুই বছরের জন্য। এরপর পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। এখন বলা হচ্ছে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ আইনের প্রয়োজন আছে। আবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আয় ও ব্যয়ের যে হিসাব দিচ্ছে, তা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি এবং আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম অথবা মহা হিসাবরক্ষকের দপ্তরের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছি। জ্বালানি খাতে কী ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়, তার একটি উদাহরণ দিই। এলএনজি আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র নিতে হয়। এর জন্য আমদানিকারককে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে, তার অনুকূলে শতভাগ কাগজপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানিটি দিয়েছে মাত্র ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক কৈফিয়ত চাইলে তারা বাকি ৫০ শতাংশ সেবা খাতে ব্যয় করার কথা জানিয়েছে। অথচ এমন এলসির অর্থ সেবা খাতে খরচ করার কোনো সুযোগ নেই।


বিইআরসির ক্ষমতা আছে। প্রয়োগের সক্ষমতা নেই। আমরা চাইছি ক্ষমতা তারা প্রয়োগ করুক। যেমন এলপিজির দাম ইচ্ছেমতো মালিকেরা বাড়িয়ে নিতেন। আমরা আদালতে গিয়ে বলেছি, এটি তাঁরা করতে পারেন না। আইন অনুযায়ী সব ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে বিইআরসি এবং তা গণশুনানি করে। এখন কিন্তু সেটিই হচ্ছে। তারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াতে পারছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও