কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শিক্ষককে নিয়ে সংসদে দেওয়া অমর্যাদাকর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ হোক

প্রথম আলো মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২২, ০৯:৫৯

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্যার গোটা দেশে পরিচিত একজন শিক্ষক। তাঁর সরাসরি শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে তিনি একজন প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিসেবে সমাদৃত। শিক্ষকরাজনীতিতেও তিনি ছিলেন সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দল ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতিকূল সময়ে তিনি শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন; শিক্ষকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ছিল। ওয়ান-ইলেভেনের দুঃসময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি ও নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে গৃহীত সব কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে আরেফিন স্যার বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেন। পরবর্তী সাড়ে আট বছর ধরে তিনিই ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।


২.
কয় দিন আগে জাতীয় সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদ তাঁর বক্তব্যে আরেফিন স্যার সম্বন্ধে কিছু কথা বলেছেন, যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। একটি দৈনিক পত্রিকায় দেওয়া আরেফিন স্যারের এক সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার আমরা বানাচ্ছি, মানুষ বানাচ্ছি কতটুকু? দায়িত্ব তো উনিও এড়াতে পারেন না, উনি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন; যাঁর কোনো পাবলিকেশনস ছিল না, রিসার্চও ছিল না, কোনো কিছু নেই, ডক্টরেট ডিগ্রি নেই, কিচ্ছু নেই মাননীয় স্পিকার! ভাইস চ্যান্সেলর কেন, রাজনৈতিক বিবেচনায়, সমস্যাটা ওখানেই। শিক্ষকেরা এখন রাজনীতিতে জড়িত হয়ে পড়েছে, রাজনীতি ছাড়া তাদের প্রমোশন হয় না। যারা যখন ক্ষমতায় আসবে সেই দলের শিক্ষকেরা তখন সুযোগ-সুবিধা পাবে; তাদের ছত্রচ্ছায়ায় একশ্রেণির ছাত্ররা রাতারাতি মাস্তান হয়ে যায়!’


৩.
এমপি মহোদয়ের এ বক্তব্যে মোটাদাগে তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, আরেফিন স্যার সম্বন্ধে তিনি যা বলেছেন, সেটি স্যারের প্রতি তাঁর নিতান্তই বিদ্বেষপ্রসূত। এই বিদ্বেষের পেছনে পুরান ঢাকার একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে গভর্নিং বডির একটি পদের সম্পর্ক আছে বলে আমরা অনেকেই জানি। এই অপরাধেই কি মহান জাতীয় সংসদে একজন সদস্য দুদিন তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করলেন!


এমপি মহোদয়ের জানা উচিত ছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষকের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টসংখ্যক প্রকাশিত প্রবন্ধ লাগে। আরেফিন স্যার প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, তারপর সহযোগী অধ্যাপক এবং পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। সব ক্ষেত্রেই পদোন্নতির শর্ত পূরণ করে তাঁকে এসব অর্জন করতে হয়েছে; কোনোরূপ রাজনৈতিক বিবেচনা কারও ক্ষেত্রেই নির্ধারিতসংখ্যক পাবলিকেশনস বা রিসার্চের বিকল্প হতে পারে না। সুতরাং আরেফিন স্যারের বিষয়ে ‘যার কোনো পাবলিকেশনস ছিল না, রিসার্চও ছিল না’—এমন মন্তব্য সমীচীন নয়। অপর মন্তব্যটি আরও নির্দয়, অমানবিক; সেটি হলো ‘ডক্টরেট ডিগ্রি নেই, কিচ্ছু নেই মাননীয় স্পিকার!’ অথচ আরেফিন স্যার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং এ ছাড়া তাঁর ব্যক্তি ও কর্মজীবনের সঙ্গে মিশে আছে বিরল বৈশিষ্ট্যাবলি; তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে আমরা সেসব বিষয়ে অবহিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও