গ্যাস-কয়লা আমদানি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে
দেশে জ্বালানি পণ্যের বড় অংশই আমদানিনির্ভর। জ্বালানি তেল, এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) ও এলপিজি (তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস) পুরোটাই আমদানি করতে হয়। কয়লারও বড় অংশ আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়। বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম, দেশে ডলার সংকট এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
গত এক বছরে বিশ্ববাজারে কয়লা ও খোলাবাজারে (স্পট মার্কেট) এলএনজির দাম লাগামহীন বেড়ে চলেছে। জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসান সামলাতে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি আপাতত বন্ধ আছে। ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খুলতে গড়িমসি করছে। তাই তেল আমদানি নিয়ে কিছুটা বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
বিশ্নেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই। অচিরেই দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন, কলকারখানাসহ সব খাতই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। দেশে ৫১ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় গ্যাস দিয়ে; ৩৪ শতাংশ জ্বালানি তেল ও ৮ শতাংশ কয়লা দিয়ে। পরিবহন খাতের ৯০ শতাংশই জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল। গ্যাসভিত্তিক বাহন বাকিটা।