সেই ঈদগুলোতে আনন্দ ছিল, চাকচিক্য ছিল না

ডেইলি স্টার শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ১১ জুলাই ২০২২, ১৫:১১

আমরা যখন স্কুলে পড়ি, সেই ৭০/৮০ দশকে, তখন ঠিক ঈদের আগের রাতে কলোনির শিশু-কিশোররা একটা মিছিল বের করতাম, আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে কলোনি প্রদক্ষিণ করতাম। শ্লোগান দিতাম, 'কাল ঈদ, কাল ঈদ'।


বেশ বড় হওয়া পর্যন্ত কলোনির ছেলে-মেয়েরা এই মিছিল বের করেছি। রোজার ঈদেও, কোরবানির ঈদেও। এই মিছিল দিয়েই শুরু হতো আমাদের ঈদ আনন্দ।


কোরবানির ঈদের আগে যখন হাট থেকে গরু-ছাগল কিনে আনা হতো, তখন কলোনিতে একটা হইচই পড়ে যেতো দাম জানার জন্য। কেন সবাইকে ওই গরু বা ছাগলের দাম জানতে হবে সেটা বুঝতাম না। তবে ব্যাপক আনন্দ ছিল 'ভাই কত হইলো?' জিজ্ঞাসা করার মধ্যে। ভাইরাও একটুও বিরক্ত না হয়ে হাসি মুখে উত্তর দিতেন, ১০ হাজার, ১৫ হাজার বা ২০ হাজার টাকা। এটা ছিল গরুর দাম। আর খাসির দাম ছিল ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা।


অনেকেই এই দাম জিজ্ঞাসার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য গলায় দামটা ঝুলিয়ে দিতেন বড় করে। তখনতো এত মিডিয়া, বিশেষ করে সোস্যাল মিডিয়া ছিল না। তাই হাটে গরুর দাম-দর বোঝার জন্য বা জানার জন্য এটি একটি পদ্ধতি হতে পারে।


কোরবানির ঈদের বিশেষ মরতবা ছিল কোরবানি দেওয়ার জন্য আনা খাসী বা গরুটি এবং সেটাকে নিয়ে শিশু-কিশোরদের আনন্দ। অনেকে বুঝতেই পারতেন না যে এই বন্ধুটি ২ দিনের অতিথি। অনেক শিশুর এই গরু-ছাগলকে পাতা খাওয়াতে খাওয়াতে এবং আদর করতে করতে হৃদ্যতা গড়ে উঠতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও