শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৫তম জামাত, লাখো মানুষের ঢল

কালের কণ্ঠ শোলাকিয়া প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২২, ১১:১২

আনন্দঘন পরিবেশে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া মাঠে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত। এই জামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এটি ছিল শোলাকিয়ায় ঈদুল আজহার ১৯৫তম জামাত। কঠোর নিরাপত্তায় আজ রবিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদের এই জামাত। এতে ইমামতি করেন মাওলানা হিফজুর রহমান।  


নামাজ শেষে যুদ্ধবিগ্রহ ও করোনামুক্ত পৃথিবী, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।  


নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ ও পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ।


ঈদের জামাতকে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয় শোলাকিয়া ও আশাপাশের এলাকা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হয় ঈদগাহ মাঠে। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে হাসিমুখে সহযোগিতা করতে দেখা যায় মুসল্লিদের। তবে করোনা সংক্রমণ বাড়ার পরও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি ছিল অনেকটাই ঢিলেঢালা। মাস্ক পরে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে মাঠে প্রবেশের নির্দেশনা থাকলেও অনেককে মাস্ক ছাড়াই মাঠে যেতে দেখা গেছে।   


২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে শোলাকিয়ায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই প্লাটুন বিজিবি, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়। একই সঙ্গে মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তা ছাড়া মাথার ওপরে ওড়ে পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরসহ প্রবেশপথগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। মাঠে স্থাপিত ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে দুরবিন ও স্নাইপার রাইফেল নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। শোলাকিয়া এলাকা ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হয় নিরাপত্তাচৌকি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও