জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মুশফিকুর রহমান (হীরক মুশফিক)। তিনি ২০১৮ সালে বিভাগটিতে অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগ পান৷ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক হওয়াসহ তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ মে অধ্যাপক পদের বিপরীতে প্রভাষক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সর্বনিম্ন সিজিপিএ ৩.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) চাওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে একাডেমিক ফলাফলের যেকোনো একটির আংশিক শিথিল করা যেতে পারে বলে একটি বিশেষ ধারা যুক্ত করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হীরক মুশফিক স্নাতকোত্তরে ৩.২৫ সিজিপিএ নিয়েই প্রভাষক পদের বিপরীতে আবেদন করেন। আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত হীরক মুশফিকের কোনো বিশেষ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা নামক একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকায় আর্টিকেল প্রকাশিত হবে দেখিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য সুপারিশ করে তৎকালীন বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি। তিনি যে পত্রিকার আর্টিকেলকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে দেখিয়েছেন, সেটি প্রকাশিত হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদনের শেষ তারিখের অনেক পরে এবং সেটি কোনো মানসম্মত স্বীকৃত জার্নাল নয় বলে অভিযোগ রয়েছে।