মোটরবাইকে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও মৃত্যু

যুগান্তর এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ১৬:১৫

লকডাউনের সময় দীর্ঘদিন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহণ যখন বন্ধ ছিল, তখন মোটরবাইকের ব্যবহার বেড়ে যায়। গত বছর এবং এবারের রোজার ঈদে মোটরবাইকের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে। করোনার কারণে চাকরি চলে যাওয়ায় অনেক কর্মজীবী পরিবারের হাল ধরতে মোটরবাইককে আয়-রোজগারের বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় যাত্রী ও পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের নতুন কোনো ঘটনা নয়। বর্ষাকালে নৌদুর্ঘটনা, সড়ক-মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনা, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়া প্রভৃতি কারণে যাত্রী হতাহত হওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে। এ দৌড়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে মোটরবাইক দুর্ঘটনা, যা সাম্প্রতিককালে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি পদ্মা সেতুতে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা সাধারণ মানুষ এবং সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে। কোনোরকম নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে মোটরবাইক শহরের ভেতরে এবং হাইওয়েতে দুই-তিনজন যাত্রীসহ অত্যন্ত বেপরোয়া গতিতে চলাচল করছে এবং প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই এ দ্বিচক্রযান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।


দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, বাড়ছে মোটরবাইক সংখ্যাও। সেই সঙ্গে বাড়ছে নিয়ন্ত্রণহীন বাইকের দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে নিঃস্ব হচ্ছে অনেকেই। বাংলাদেশ রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক জরিপ মতে, এবারের (২০২২) রোজার ঈদে গণপরিবহণের বিকল্প হিসাবে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ মোটরবাইকে চড়ে বিভিন্ন জেলায় আসা-যাওয়া করেছেন। ২৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে ১৪ দিনে দেশে ২৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জনের প্রাণ গেছে; তার মধ্যে নারী ৩৮, শিশু ৫১; আহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার। ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাবে মোট দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২২ শতাংশ মোটরবাইকের। আর মোট মৃত্যুর ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ ঘটেছে এ দুই চাকার বাহনে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ঈদযাত্রায় ১৬৪টি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪.০৮ শতাংশ; নিহতের ৩৪.৮৫ শতাংশ ও আহতের ১৩.০৩ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও