ফের স্কুলে যেতে বইখাতা শুকাচ্ছে আরিফা-রিমারা

সমকাল সিলেট জেলা প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২২, ০৮:৪৪

কয়েকদিন ধরে রোদ-বৃষ্টির খেলার পর সিলেটে নির্মল আকাশে ঝকঝকে রোদের দেখা মিলেছে। বৃষ্টিহীন দিনে রোদ বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় স্বস্তি এনেছে। ১০-১২ দিন পর ঘরবাড়ি থেকে পানি নামলেও কাদার আস্তরণ ছিল। গতকাল শনিবার তীব্র রোদের তাপে ঘরদোর কিছুটা বাসযোগ্য হয়েছে বলে জানান নগরীর তেররতন এলাকার হাজেরা বেগম। ঘরের ভেজা আসবাবপত্র, বিছানা-কাপড় রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টায় রোদে শুকাতে দিচ্ছেন বন্যার্তরা। বড়দের পাশাপাশি 'সুয্যি মামার' দেখা পেয়ে কর্মযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিশুরাও, বন্যায় ভিজে নষ্ট হওয়া বইখাতাগুলো শুকাতে ব্যস্ত তারা।


সদর উপজেলার ছামাউরাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে আরিফা, আনিকা, রিমা, আফরোজা, হোসেন, আতিকসহ অনেকে। কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ছামাউরাকান্দি গ্রামের এই শিশুদের বাড়িঘরও ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিল। বড়দের সঙ্গে তাদের কেউ কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে জীবন রক্ষা করে। পানি নামার পর ঘরে ফিরে দেখে আসবাবপত্রের পাশাপাশি তাদের বইপত্রও ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ছামাউরাকান্দি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা জানায়, তাদের ঘরে পানি উঠেছিল। অন্য সবকিছুর সঙ্গে তার ও ছোট বোন আফরোজার বইপত্র ভিজে যায়। রোদে শুকানোর চেষ্টা করছে।


ছামাউরাকান্দি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রইছ আলীর দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ূয়া মেয়ে রিমা রোদে বইখাতা শুকাতে দিয়েছে। সে বলে, আবার স্কুলে যাব। তাই বইখাতা লাগবে। ভিজে বইয়ের অনেক পাতা নষ্ট হয়ে গেছে। খাতাগুলো শুকিয়ে লেখার উপযোগী করার চেষ্টা করছে শিশুটি। আরিফা-আফরোজাদের বাবা প্রবাসী মফিজ আলী। রিমার বাবা রইছ আলী জানান, বন্যায় ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এগুলো মেরামত করতে হবে। ধান-চালও ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সন্তানের লেখাপড়ার জন্য তাদের বইখাতাও লাগবে, তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে।


শিশুদের বইখাতার পাশাপাশি ভয়াবহ বন্যায় জেলায় অনেক স্কুল ভবন ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পুরো জেলায় ১ হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে; যার মধ্যে এক হাজার ৯২টি প্লাবিত হয়। বন্যাকবলিত স্কুলগুলোর মধ্যে ৮৯৪টি স্কুল কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব স্কুলের অবকাঠামো, আসবাবপত্র, বইপত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র পানিতে নষ্ট হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও