স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা, পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার
নেত্রকোনার মদনে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক রুকেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রুকেল মিয়ার বিরুদ্ধে মদন থানার এস আই মাসুদ জামালী বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে বুধবার (২৯ জুন) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রুকেল মিয়া উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের গাবরতলা গ্রামের ভিক্কু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বালালী বাজারে আপেল মাহমুদের দোকানে কাজ করতেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর সকালে উপজেলার বালালী গ্রামের নিজ বসত ঘর থেকে হিমা আক্তারের (৪৬) রক্তাক্ত মরদেহ ও স্বামী নান্দু মীরের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নান্দু মীর উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শামছু মীরের ছেলে। ২০ বছর আগে বালালী গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নাফের মেয়ে হিমা আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর থেকে নান্দু মীর তার শ্বশুর বাড়ি বালালী গ্রামে বসবাস করতেন।
দাম্পত্য জীবনে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। এদিকে হিমা আক্তার তার ছোট বোনের স্বামী আপেল মাহমুদের দোকানের কর্মচারী রুকেল মিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তার স্বামী নান্দু মীর জানার পর দুজনের মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দুই পরিবারের লোকজন কয়েকবার সালিশি বৈঠক করে মীমাংসা করেন। মীমাংসার পরেও পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশায় চালিয়ে যান হিমা আক্তার। এ ক্ষোভে স্ত্রীকে রেখে নিজ বাড়ি আলমশ্রী গ্রামে চলে যান নান্দু মীর। পরে ১০ অক্টোবর বাড়িতে এসে রাতে নিজের বসতঘরে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পরদিন হিমা আক্তারের ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। অপর দিকে নান্দু মীরের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশের দীর্ঘ তদন্তরে পর ঘটনার নেপথ্যে পরকীয়া প্রেমিক রুকেল মিয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।