মানবদেহে জুনোটিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ০৯:০৫

প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়া রোগকে বলা হয় জুনোটিক ডিজিজেস বা জুনোটিক রোগ। প্রতিনিয়ত বন উজাড়, নতুন নতুন ভবন ও রাস্তা নির্মাণ, কৃষিজমি দখল, জলাভূমির পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগর সম্প্রসারণের ফলে দেশের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটছে। এতে খাদ্য ও আবাসস্থলের সংকটে পড়ছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী। কখনো কখনো খাদ্য ও নিরাপদ আবাসের সন্ধানে লোকালয়েও চলে আসছে তারা। তারপর মানুষের মুখোমুখি পড়লে আক্রমণ করে বসছে মানুষকেই। আক্রমণের ফলে প্রাণীদেহ থেকে শরীরে জীবাণু প্রবেশ করায় বিভিন্ন জুনোটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে মানুষ।


আবাসস্থলের সংকটে বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় রিসাস ম্যাকাক (এক ধরনের লালমুখী বানর) লোকালয়ে এসে প্রতিনিয়ত মুখোমুখি হচ্ছে মানুষের। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, এ বানরের আক্রমণে দেশের মানুষের মধ্যে জুনোটিক রোগের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।


যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, প্রাণীর সঙ্গে বাড়িতে বা বাড়ির বাইরে যেকোনো ধরনের যোগাযোগের সময়ে করা আক্রমণের ফলে এ রোগ ছড়াতে পারে। প্রাণী কখনো কখনো ক্ষতিকারক জীবাণু বহন করতে পারে, যা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে অসুস্থতার কারণ হয়। জুনোটিক রোগগুলো ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও ছত্রাকের মতো ক্ষতিকর জীবাণু দ্বারা তৈরি হয়। এ জীবাণুগুলো মানুষ ও প্রাণীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাতে মৃদু থেকে গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হয়। যেকোনো মেরুদণ্ডী প্রাণী মানুষের শরীরে এ রোগ ছড়াতে সক্ষম। মানুষের প্রতি ১০টি পরিচিত সংক্রামক রোগের মধ্যে ছয়টির বেশি প্রাণী থেকে ছড়াতে পারে। আর মানুষের মধ্যে প্রতি চারটি নতুন বা উদীয়মান সংক্রামক রোগের মধ্যে তিনটি আসে প্রাণীদেহ থেকে। দেশে এখন পর্যন্ত যতগুলো জুনোটিক রোগ শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা, নিপাহ, সোয়াইন ফ্লু, অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্ক, এইচআইভি ও সর্বশেষ কভিড-১৯ রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও