সুদৃশ্য ভবনও পড়ে অবহেলায়
আবহাওয়া সম্পর্কিত তথ্য জানার জন্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি ৯ বছর পরও চালু হয়নি। উপজেলার পোমাংপাড়ায় নির্মিত এই আবহাওয়া ভবন এত বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো কাজে আসেনি এলাকাবাসীর।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অসংখ্য মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আবহাওয়া অফিস চালু থাকলে আগাম বার্তায় রক্ষা পেত অনেক মানুষ। এ ছাড়া কৃষকেরা খেতের ফসলও রক্ষা করতে পারতেন। কিন্তু নির্মাণের এত বছর পেরিয়ে গেলেও এই ভবন এখনো চালু না হওয়ার ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
পার্বত্য অঞ্চলের বৃষ্টিপাত, পাহাড়ধসের পূর্বাভাস, কৃষকদের কৃষি পূর্বাভাস দেওয়া, আর্দ্রতাসহ আবহাওয়ার তথ্য ৩ ঘণ্টা পরপর ঢাকার আবহাওয়া অফিসে পাঠানো হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৯ সালে শুরু হওয়া ভবনের কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে। এদিকে ভবন নির্মাণ শেষে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে সব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। জনবলসংকটে ৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হয়নি এ আবহাওয়া ভবন। জনগণের জন্য সরকারের ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আবহাওয়া ভবন নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসেনি।
গতকাল দুপুরে সরেজমিন আবহাওয়া অফিস ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রবেশের গেটে তালাবদ্ধ। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় তালাগুলোতে মরিচা ধরেছে। ভেতরে থাকা ভবন দুটির মধ্যে তালা ঝোলানো।
আবহাওয়া অফিসের মাধ্যমে পাহাড়ের চাষাবাদের গবেষণা, আবহাওয়া পূর্বাভাস, দুর্যোগের সতর্কীকরণ পাওয়া যায়। কিন্তু দীঘিনালা আবহাওয়া অফিসটি ৯ বছরেও চালু না হওয়া এসব কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দীঘিনালা উপজেলার কৃষকশ্রেণি থেকে সাধারণ মানুষ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে না জানার কারণে এ অঞ্চলের কৃষক ও মৎস্য প্রাণিসম্পদকে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়। হঠাৎ বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় আমন ও আউশ মৌসুমের বীজতলা, শীতকালীন শাকসবজি। তা ছাড়া হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে ছোট-বড় অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে যায়।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- অবহেলিত
- আবহাওয়া অফিস