তাঁদের বেশির ভাগই চোখে ‘কুয়াশা’ দেখছেন
নজরুল মণ্ডলের হাতে ও ঠোঁটে দগদগে ঘায়ের মতো হয়ে গেছে। কোমরের নিচে বেশ খানিকটা জায়গা ব্যান্ডেজে মোড়ানো। স্ত্রীর সাহায্য ছাড়া শোয়া-বসা করতে পারেন না। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঘুরে আসতে হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকেও।
৪ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের একজন নজরুল মণ্ডল। বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
কাভার্ড ভ্যানের চালক নজরুল বসা অবস্থা থেকে শুতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছিলেন। বললেন, সেদিনের ঘটনায় তাঁর গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল। দগ্ধ হন তিনি। এতে তাঁর শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিয়েছে। এখন চোখের সামনে যা দেখেন, সবই কুয়াশার মতো ঝাপসা মনে হয়।
নজরুলের এক মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আরেক মেয়ের বয়স মাত্র দেড় বছর। সেদিনের ঘটনা ভুলতে পারেন না তিনি। মুঠোফোনের নম্বর চাইলে ম্লান হেসে বললেন, ‘পকেটে মানিব্যাগ আর ফোন ছিল। দুর্ঘটনার পর কে নিয়া গেছে, বলতে পারি না।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ৫২০ নম্বর ওয়ার্ডে পাশাপাশি বিছানায় নজরুলসহ সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আহত মোট ১৪ জন ভর্তি আছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে।