দুই সন্তানেই ‘ফুলস্টপ’ দিচ্ছেন ৭৯ শতাংশ মা

ঢাকা পোষ্ট স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ২০:০৬

১৯৭২ সালে দেশের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এসে সেই বাজেটের আকার (প্রস্তাবিত) দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকায়। স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছরে বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে দেশটি।


এ সফলতা কোনো রূপকথার গল্পের জাদুর কাঠির মাধ্যমে আসেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সফলতার অন্যতম কারণ হলো- পরিবার পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল নির্ধারণ এবং সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।


বলা হয়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধান সমস্যা ছিল জনসংখ্যা ও দরিদ্র্যতা। সে সময়ে একজন মা যেখানে ছয় থেকে সাতটি সন্তান জন্ম দিতেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে দুই থেকে তিনে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের (বিডিএইচএস) তথ্য মতে, বর্তমানে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে দুই সন্তান বিশিষ্ট ৭৯ শতাংশ নারী পরবর্তী সন্তান গ্রহণে অনিচ্ছুক, যা ২০০৪ সালে ছিল ৬৭ শতাংশ। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারীর হার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৮.৫ শতাংশ হয়েছে এবং সব পদ্ধতির ড্রপ-আউটের হার কমে ৩০ শতাংশ হয়েছে।


পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে দেশের প্রজনন হার বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (টিএফআর) ছিল ৬ দশমিক ৯, অর্থাৎ ওই সময়ে একজন মা গড়ে প্রায় সাত সন্তানের জন্ম দিতেন। ১৯৭৫ সালে প্রজনন হার ছিল ৬.৩, ১৯৮১ সালে এটি কমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ২-এ। এরপর তা আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ (২০২০ সাল) বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ বলছে, দেশের প্রজনন হার এখন ২ দশমিক ৩, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে, ২০২৫ সালের মধ্যে ২ শতাংশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা সরকারের।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও