কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন (কুসিক) শুরু হয়েছে। আজ বুধবার কাল ৮টা থেকে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে ভোটের আয়োজন করছে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
সকাল থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গিয়েছে, ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছেন। প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল মোটামুটি। তবে পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিত বেশি। এদিকে, ভোট গ্রহণ শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল নয়টার দিকে কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে মোটামুটি বড় সারি ছিল ভোটারদের। এ সময় হঠাৎ শুরু হলো বৃষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারেরা কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়েন। অনেকে আবার আশ্রয় নেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সেডে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন যেটিতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাথরিয়াপাড়া এলাকার জেএল মেমোরিয়াল কিন্ডার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৪৩ জন পুরুষ ভোটার রয়েছেন। সকাল ৮টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। তিনি আশা করছেন, এত এত নিরাপত্তার মাঝে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না।
ভোট দিতে আসা সুজানগর এলাকার হাবিব শাত্তী বলেন, ভোট দিতে এসেছি আরও ২০ মিনিট (সাড়ে ৭টার দিকে) আগে। সকাল সকাল এসেও ৩০ জনের পেছনে পড়েছি। কেন্দ্রে অনেক পুলিশ আছে, আশা করি ভোট সুষ্ঠুই হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে আমার প্রার্থী জিতবেন।
কমিশন জানায়, কুসিক নির্বাচনে তিন হাজার ৬০৮ জন পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবেন। সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবেন যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ জন করে পুলিশ। এছাড়া আনসারসহ গ্রাম পুলিশের সদস্যরাও থাকবেন। আর পুলিশের মোবাইল ফোর্স থাকবে ২৭টি, প্রতি ওয়ার্ডে একটি। স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়টি। রিজার্ভ ফোর্স দুটি। আর বিজিবি মোতায়েন করা হবে ১২ প্লাটুন, র্যাবের ২৭টি টিম থাকবে। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাচনী ম্যাজিস্ট্রেট ও নয়জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন দুই হাজার ৫৬০ জন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার ৬৪০ জন, পোলিং অফিসার ১ হাজার ২৮০ জন এবং সহকারী পোলিং অফিসার ৬৪০ জন। এদিকে এরই মধ্যে কুমিল্লা সিটির বিভিন্ন পয়েন্টে ৭৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে-ভেতরে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।