কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রিট ও কিছু প্রশ্ন

সমকাল শুভ কিবরিয়া প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২, ১০:৪৭

স্যার ফজলে হাসান আবেদের (১৯৩৬-২০১৯) সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকবার। শেষ যেবার সাক্ষাৎকার নিয়েছি, নিউজ ম্যাগাজিন 'সাপ্তাহিক' সম্পাদক গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে যৌথভাবে; তা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১০ সালের ২০ মে। তখন তাঁর সঙ্গে আলাপ তুলেছিলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে দরিদ্র মানুষের সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া তো প্রায় অসম্ভব। গরিব মানুষের জীবনমান পরিবর্তনই ব্র্র্যাকের মূল টার্গেট। অথচ টাকার কারণেই গরিব মানুষের ছেলেমেয়েরা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবে না। এটা কি নীতিগত দ্বৈততা হয়ে গেল কিনা? স্যার ফজলে হাসান আবেদ খুব ঠান্ডা চিন্তার মানুষ ছিলেন। কথাও বলতেন শান্ত স্বরে। তিনি জানালেন, একটা মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় বানানো দরকার, যাতে সৎ, ভালো একটা নতুন প্রজন্ম গড়ে ওঠে। কোয়ালিটিতে কোনো আপস করা যাবে না। ফলে এখানে পড়তে খরচ একটু বেশি হবেই। তাঁর ভাষায়, 'আমাদের এখানে গরিব ছাত্রছাত্রীরাও পড়ছে। আমি বেশ কিছু টাকা জোগাড় করেছিলাম গরিব ছাত্রছাত্রীদের জন্য। যারা কোনো ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এমনকি যাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও যাওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। থাকা-খাওয়ার জন্য হাজার দুয়েক টাকা লাগবে, সেটাও নেই। তাদের শুধু ফ্রি এডুকেশনই দিই না, তাদের আবার প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দিই, যাতে করে সে থেকে-খেয়ে-পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে।' ফজলে হাসান আবেদের এই মডেলটা আমার মনে ধরেছিল।


হঠাৎ এসব ঘটনা ও কথা মনে পড়ল সংবাদপত্রে আদালতের একটা খবর দেখে। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩০ মে এক রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, দেশের ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কতজন দরিদ্র শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, সেই সংখ্যাসহ এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গবেষণার জন্য কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে তথ্য আদালতকে জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে ৬০ দিনের মধ্যে ওইসব বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। জনস্বার্থে এই রিটটি করেছেন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। রিট আবেদনকারীর উদ্বেগ হচ্ছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৯(৪) ধারা ও ৯(৬) ধারা উপেক্ষিত হচ্ছে; সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও