এ বাজেটও কি গতানুগতিক হবে?
প্রতি অর্থবছরের জুন মাসের শুরুর দিকে জাতীয় বাজেট প্রস্তাব আকারে সংসদে উপস্থাপিত হয়। মাসভর নানা আলোচনা শেষে কিছুটা পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের মধ্য দিয়ে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বাজেটটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। এবারের বাজেট সংসদে ৯ জুন উপস্থাপিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থাৎ চলতি বছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা এবং এরও আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাজেটের আকার বেড়ে বেড়ে কয়েক লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ১৯৭২ সালের বাজেট জিডিপির প্রায় ৬ শতাংশ হলেও গত কয়েক বছরে তা গড়ে ১৮ শতাংশ।
স্বাধীনতার পর গত ৫০টি বাজেটের প্রতিটিরই আকার পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় বেড়েছে; কিন্তু বাজেটের গুণগত কোনো পরিবর্তন হয়নি। নির্দিষ্ট কোনো খাতের ব্যয় বেড়েছে মাত্র। যেমন, পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় সরকারের ব্যয় ছিল ২৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে তা বেড়ে হয় ৬৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে ৭৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা করার পরিকল্পনার কথা জানা গেছে। এই বাড়তি ব্যয় অন্যান্য খাতেও দেখা যাবে, তবে বাজেট প্রণয়নের কোনো দর্শনভিত্তি গত ৫০টি বাজেটে লক্ষ করা যায়নি।