আত্মহত্যার আগে বিষণ্নতার কথা জানায় তারা
গত ১১ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার বাবার ডায়েরিতে লিখেছেন— ‘চোরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’
একই দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত শিক্ষার্থী অমিত কুমারের রুমে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই।’
এই বছরই মার্চে রংপুর মহানগরীর একটি ছাত্রাবাস থেকে শহিদুল ইসলাম শহীদ (২২) নামে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এতেও ‘মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ উল্লেখ করে কিছু কথা লেখা রয়েছে। তার মৃত্যুতে যেন কোনও মামলা না হয়, সেটাও নোটে লেখা আছে। বন্ধুদের দাবি তার প্রেমঘটিত সমস্যা চলছিল কিছুদিন ধরে।