দূরে থাক ক্যানসার
ক্যানসারের আরেক নাম কর্কট রোগ। এটি অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন-সংক্রান্ত রোগগুলোর সমষ্টি। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার সহজে ধরা পড়ে না। ফলে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আসলে এখনো এ রোগের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মানবদেহে ২০০-এর বেশি ধরনের ক্যানসার হতে পারে। প্রতিটি ক্যানসারের ধরন আলাদা। আবার চিকিৎসা পদ্ধতিও ভিন্ন। বর্তমানে ক্যানসার নিরাময়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে এ সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য।
ক্যানসার হওয়ার কারণ কিছুটা বংশগত। জিনগত সম্পর্কের বিষয়টি গবেষকরা নির্ণয়ও করেছেন। এ কারণে পরিবারের কেউ এ রোগে আক্রান্ত হলে তার উত্তরসূরির আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে বাবার ক্যানসারের কারণে ছেলেরও হবে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। আবার ঘটনাটি বিরল হলেও এমনও ঘটতে দেখা গেছে, পরিবারের বেশ কয়েক ভাই-বোন একে একে ব্লাড ক্যানসারে মারা গেছেন।
মা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে মেয়েরও স্তন ক্যানসার হতে পারে। এ ক্ষেত্রে আশঙ্কা তুলনামূলক বেশি। অবশ্য এ ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। মোটকথা, ক্যানসারের বংশগত বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট নয়।