ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের আকুতি অন্য কোথাও দেখা যায় না কেন?
‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন/ ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে।/ কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে/ কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।’
বাঙালি কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের এই কবিতা আমরা সেই ছোটকাল থেকেই শুনে আসছি। আর এই কবিতার মর্মার্থ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউরোপের সরকারগুলো অনুধাবন করছে। যুদ্ধ মানেই বিধ্বস্ত জনপদ, হত্যালীলা আর অশ্রুপাত। যুদ্ধকে বৈধতা দেওয়ার অর্থ মানুষের গভীর মানবিক দিকটাকে অবহেলা করা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের প্রতি রাশিয়ার এই হামলা গণতন্ত্র ও মুক্ত পৃথিবীর প্রতি হামলা।’ আর পশ্চিমা মিত্ররাও জেলেনস্কির কথাকেই জ্ঞান করছেন; যেন গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের যুদ্ধ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা সমাজের এই সংহতি সচরাচর দেখা যায় না। আজ খোদ ইউরোপের মাটিতে যুদ্ধের এই দংশন হচ্ছে বলেই কি এ সংহতি!