ক্ষমতার দাপট সরিয়ে দিল চাঁদপুরের ডিসিকে

প্রথম আলো আলী ইমাম মজুমদার প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২, ১৫:০৪

অনেক সরকারি চাকরিতে বদলি একটি আবশ্যিক শর্ত। সে বদলি করতে হয় পদোন্নতি, নবসৃজিত পদ পূরণ, চাকরিরত স্থানে চাহিদা মেটাতে কারও অক্ষমতা, নতুন কোনো কর্মস্থলের বিশেষ চাহিদা ইত্যাদি কারণে। এ ছাড়া একই পদে থাকলেও প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সময়ান্তরে বদলি করা হয়। এর কারণ, একই কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থাকলে ওই কর্মকর্তা–কর্মচারী কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা কর্মস্থল বদল করে উপরিউক্ত পরিস্থিতি এড়ানোর যুগবাহিত রেওয়াজ রয়েছে। তবে বিশেষ করে স্থানান্তরের বদলির ক্ষেত্রে কিছু একটা সময়সীমা মেনে চলা হয়। কেননা, এক স্থান থেকে অন্যত্র বদলি করলে তাঁর সংসারজীবন কিছুটা ওলটপালট হয়। নতুন জায়গায় সংসার পাতার ঝঞ্ঝাট অনেক। কিছুটা অতিরিক্ত অর্থের আবশ্যকতাও থাকে। অন্যদিকে ঝুঁকিতে থাকে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া।


এ ছাড়া সরকারের দিক থেকেও এখানে রয়েছে একটি ব্যয়সংশ্লেষ। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা–কর্মচারীর সপরিবার ভ্রমণ ভাতা ও নির্দিষ্ট পরিমাণ মালামালের পরিবহন খরচ দিতে হয় সরকারকে। সুতরাং অসময়োচিত বদলি অত্যাবশ্যক না হলে পরিহার করে চলা হয়। তার ওপর কোনো কর্মকর্তা যদি জনস্বার্থে ভালো কোনো উদ্যোগ নিতে গিয়ে প্রভাবশালী কোনো মহলের বিরাগভাজন হন, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা চাইবে তাঁকে সেখান থেকে বদলি করাতে। বদলি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা সংশ্লিষ্ট থাকেন, তাঁদের উচিত সচেতন ও সক্রিয়ভাবে এ ধরনের বদলির প্রচেষ্টা ঠেকানো। কেননা, এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট রয়েছে সুশাসনের চাবিকাঠি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনস্বার্থে নিয়োজিত। কিন্তু এরূপ জনস্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে কেউ কেউ প্রভাববলয়ের রোষানলে পড়েন। তখন যদি তাঁদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়, তবে এ ধরনের কর্মকর্তারা হতোদ্যম হবেন। ভবিষ্যতে ঝুঁকি নিতে থাকবেন দ্বিধান্বিত। শুধু তিনি নন। তাঁর পরিণতি জেনে অন্যরাও এ থেকে নেতিবাচক শিক্ষাই লাভ করবেন। আর তা হচ্ছে জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজের গা বাঁচিয়ে চলা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও