শতবর্ষ আগের ঢাকার স্কুল-কলেজ

দেশ রূপান্তর ড. এম এ মোমেন প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২, ১১:৫১

আসলে ১১০ বছর। ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার আগে নেটিভ শাসনের যুগে ঢাকা জেলার জনশিক্ষার বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়নি। এটা এখন মনে হলেও (প্রতিবেদনটি ১৯১২ সালে প্রকাশিত) তা পুরোপুরি উপেক্ষিত ছিল না। মোগল সরকার ঢাকায় একজন অধ্যাপককে মাসে ৬০ টাকা বেতন দিত, তিনি আরবি ভাষা, যুক্তিবিদ্যা, অধিবিদ্যা এবং আইন পড়াতেন। কিন্তু ১৭৫১ সালে তার মৃত্যু হলে এই শূন্যপদে আর কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।  হিন্দুদের জন্য বহুসংখ্যক সংস্কৃত স্কুল ছিল। ১৮৩৮ সালে এ ধরনের স্কুলের সংখ্যা ১২৫টির কম ছিল না। অবশ্য যা পড়ানো হতো তার সঙ্গে ব্যবহারিক জীবনের মোটেও মিল ছিল না। সংস্কৃত ব্যাকরণ পড়ানো হতো দশ বছর। বেদ আট বছর এবং যুক্তিবিদ্যা বারো বছর। কাজেই অবাক হওয়ার কারণ নেই যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাত্র ৮২৪ জন শিক্ষার্থী আকৃষ্ট হয়েছিল। বিক্রমপুরের স্কুলে জ্যোতির্বিদ্যা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ানো হতো। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ পক্ষপাত ছিল, এমনকি এখনো এই জেলায় চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চাকারীর সংখ্যা অন্য জেলার তুলনায় অনেক বেশি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে ‘প্রাচীন পৈতৃক সম্পর্ক’ বিরাজ করত। ছাত্রদের কেবল পড়ানোই হতো না, তাদের আহার দেওয়া হতো, পোশাক দেওয়া হতো এবং আবাসনের ব্যবস্থাও করা হতো। শিক্ষক তার ছাত্রের ভরণ-পোষণের জন্য দাতব্য সহায়তা গ্রহণ করতেন।


১৮৩৮ সালে ঢাকার ১১টি হিন্দু স্কুলে ৩০২ জন শিক্ষার্থী ছিল; সে সময় ঢাকার ৯টি মুসলিম স্কুলে পড়াশোনা করত ১১৫ জন। হিন্দু স্কুলে ছাত্র বেতন ছিল মাসে দুই আনা; কিন্তু মুসলিম স্কুল ছিল ফ্রি, ছাত্রদের পয়সাকড়ি লাগত না। পড়াশোনার বিষয় সাধারণ হলেও তা ছিল ব্যবহারিক এতে থাকত পড়তে পারা, লিখতে পারা, গুপ্তলিখন শিক্ষা (সাইফারিং) এবং বাণিজ্যিক ও কৃষি হিসাবনিকাশ। মুসলমানরা ব্যাকরণ, সাহিত্য এবং ধর্ম বিষয়ে পাঠ গ্রহণ করত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও