যেভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়ল শ্রীলঙ্কা

প্রথম আলো শ্রীলঙ্কা প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২২, ১৯:৩০

শ্রীলঙ্কায় লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট এবং অসহনীয় বিদ্যুৎ ঘাটতির জেরে সৃষ্ট রাজপথের আন্দোলন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। তাঁর ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে অন্য মন্ত্রীদের নিয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিতে নতুন নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি ও বিক্ষিপ্ত সহিংসতা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে ওঠা ও এরই মধ্যে কোডিভ–১৯–এর কারণে ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাওয়া পর্যটননির্ভর অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের মতো বিষয় জটিল করে তুলেছে।


সংকটের শুরু কীভাবে


২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজাপক্ষে জনতুষ্টিমূলক কর কর্তনের পদক্ষেপ নেন। ফলে কোভিড মহামারির জেরে অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা লাগার মাস কয়েক আগেই সরকারের রাজস্ব ব্যাপকভাবে কমে যায়। প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও (প্রবাসী আয়) ভাটা পড়ে। ইতিমধ্যে করোনা মহামারি শুরুর পর প্রবাসীদের অনেকে চাকরিও খোয়ান।


বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমার সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে হিমশিম খেতে থাকে শ্রীলঙ্কা। এই ঋণের বড় অংশই ছিল উচ্চাভিলাষী অবকাঠামাগত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ। এমনকি ভারতের মতো প্রতিবেশীদের কাছেও দেনাদার হয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পর নিয়মিত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হতে থাকে সরকার। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ২০২১ সালে রাজাপক্ষের জৈব সারভিত্তিক চাষের সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কৃষেকেরা। রাতারাতি এমন পদক্ষেপে দেখা যায়, চা ও ধান উৎপাদনে ধস নেমেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও