কৃষিতে প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে হবে
গত ১০ মে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণ করে মাথাপিছু আয় ও জিডিপি এবং খাতওয়ারি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব উপস্থাপন করেছে।
এতে দেখানো হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২৩৩ ডলার বেশি। আর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির খাতওয়ারি প্রাক্কলনে দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শিল্প, সেবা, ব্যাংক ও বিমা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নির্মাণ খাতে প্রবৃদ্ধি হার ইতিবাচক হলেও কৃষি খাতে তা নেতিবাচক।
সাময়িক প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে (শস্য উপখাত, প্রাণিসম্পদ উপখাত এবং বন উপখাত নিয়ে গঠিত) প্রবৃদ্ধি হার হবে ২ দশমিক ২০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের তুলনায় কম। গত কয়েক বছর ধরে কৃষি খাতে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি হারের কারণে আমাদের প্রতিবছর বেশকিছু পরিমাণ চাল এবং বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করতে হচ্ছে। তাছাড়া দেশীয় উৎপাদনে চাহিদা না মেটায় আমদানি করতে হচ্ছে আরও কিছু খাদ্যপণ্য।
কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধিহার বৃদ্ধিতে দেশ কী কী সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, প্রবৃদ্ধিহার হ্রাস পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উচ্চমূল্যে এসব পণ্য আমদানিতে আমাদের অর্থনীতি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং কীভাবে কৃষিজাত খাদ্যপণ্যের প্রবৃদ্ধিহার ঊর্ধ্বমুখী করা যেতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।