‘ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’
বাংলার গণমানুষের নন্দিতনেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আজ ৪১ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৮১-এর ১৭ মে নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন। যেদিন প্রিয়নেত্রী স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন সেদিন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল না, ছিল সর্বব্যাপী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ। স্বৈরশাসনের অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশে তিনি হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথযাত্রী। দীর্ঘ ৪টি দশক অত্যাচার-অবিচার, জেল-জুলুম সহ্য করে, নিষ্ঠা, সততা ও দক্ষতার সাথে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে, ৪ বার গণরায়ে অভিষিক্ত করে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। ’৭৫-এর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিল, সেই দুঃসময়ে তিনি দলের হাল ধরেন। সমগ্র সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তখন সামরিক শাসনের দুঃশাসনে নিপতিত।
স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ’৮১-এর সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর দলের নেতৃত্বভার অর্পণ করে তাঁর হাতে আমরা তুলে দিয়েছিলাম দলের রক্তেভেজা সংগ্রামী পতাকা। যেদিন তিনি প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে এলেন সেদিন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মনে করেছিল শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকেই ফিরে পেয়েছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী বিশ্বাসঘাতকের হস্তে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হন। নিষ্পাপ শিশু রাসেলকে সেদিন হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা যদি সেদিন দেশের বাইরে না থাকতেন তারা আমাদের মধ্যে থাকতেন না। দীর্ঘ ২১ বছর পর ’৯৬ সনে তিনি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পান। দৃঢ়তা ও সক্ষমতা নিয়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে সংবিধানকে কলঙ্কমুক্ত করে জাতির জনকের হত্যার বিচারের কাজ শুরু করেন।