দেশের মানুষ যাতে করোনা মহামারির ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণোদনা ঋণের ব্যবস্থা করেছে। বিতরণ প্রক্রিয়ায় জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে প্রথম দফা প্রণোদনা ঋণের শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। দেশবাসী আশা করেছিল, কর্তৃপক্ষ এমন পদক্ষেপ নেবে যাতে দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা ঋণের শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বড় শিল্প ও সেবা খাতে অর্থবছরের ১০ মাসে দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা ঋণ বিতরণ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ; ছোট শিল্পে এ ঋণ বিতরণের হার ৪৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে ধীরগতিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ঋণ বিতরণের দিক থেকে নাজুক অবস্থায় আছে বেশ কয়েকটি ব্যাংক। এর মধ্যে একডজনের বেশি ব্যাংক এক টাকাও বিতরণ করতে পারেনি। অপরদিকে কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ বিতরণের হার ১ শতাংশেরও কম। ২টি ব্যাংক ঋণ বিতরণ করেছে ২ শতাংশেরও কম। ১৪টি ব্যাংক ৫০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করেছে। সবচেয়ে এগিয়ে আছে চতুর্থ প্রজন্মের একটি ব্যাংক। ব্যাংকটির লক্ষ্য ছিল মাত্র ৫০ কোটি টাকা। এ ব্যাংকটি লক্ষ্যের শতভাগ ঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে। একটি বিদেশি ব্যাংক ৯৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে।