কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শ্রীলঙ্কায় নায়কেরা যেভাবে খলনায়ক

প্রথম আলো শ্রীলঙ্কা প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২, ১৬:২৭

শ্রীলঙ্কা একটি জটিল মুহূর্তে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক সংকট দুই কোটি ২০ লাখ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে।   গৃহযুদ্ধ জয়ের কারণে যে রাজাপক্ষে ভ্রাতৃদ্বয় অনেকের কাছেই নায়ক ছিলেন, তাঁরাই এখন নেতা হিসেবে তিরস্কৃত হচ্ছেন। কীভাবে আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি হলো, পরবর্তীতেই বা কী আছে? বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সে কথা।


এপ্রিলের শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন বিক্ষোভকারীরা। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে তা চূড়ান্ত রূপ নেয়।


প্রথমত, মাহিন্দা রাজাপক্ষের সমর্থকেরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন। এই হামলা ঘিরে দেশজুড়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিবিদদের কয়েক ডজন ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘরবাড়ির কয়েকটি ছিল রাজাপক্ষে পরিবারের।


সরকারি বাসভবনে মাহিন্দা রাজাপক্ষকে (৭৬) অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সেনাবাহিনী। নিরাপত্তার জন্য দেশের উত্তর-পূর্বের একটি নৌঁঘাটিতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। একটি আদালত তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। দুইবারের প্রেসিডেন্টের জন্য তা একেবারেই অপমানজনক।


মাহিন্দার বিদায়ও তাঁর কোণঠাসা ছোট ভাইয়ের (৭২) ওপর চাপ কমাতে কিছুই করতে পারেনি। এখন পর্যন্ত পদত্যাগের দাবি উপেক্ষা করে আসছেন প্রেসিডেন্ট। যদিও কিছু ছাড় দিতে এখন তিনি বাধ্য হচ্ছেন। নিজের কিছু ক্ষমতা পার্লামেন্টকে দিতে রাজি হয়েছেন। প্রবীণ রাজনীতিক রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁর কাজ হবে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা।


তবে গোতাবায়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন সুতোয় ঝুলছে। তার সরে যেতে বাধ্য হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার বলে কেউ কেউ মনে করছেন। আরও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সামাল দেওয়ার মতো অবস্থা শ্রীলঙ্কার নেই বললেই চলে। কারণ, ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটি তার ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও