ইভিএম প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ইসির, কোনো দল নয়

প্রথম আলো আলী ইমাম মজুমদার প্রকাশিত: ১১ মে ২০২২, ১৮:৫৯

২০০৮ সালের শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ জোট সরকার গঠন করে। তারা উঠিয়ে দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এরপর প্রকৃত অর্থে দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন হয়নি। কার্যত, জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না এ দুটি নির্বাচনে। তবে এটা ঠিক, তারা সোচ্চারও হয়ে ওঠেনি দৃশ্যমানভাবে। এ অবস্থাতেই ২০২৩ সালের শেষাবধি আরেকটা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এটা সামনে রেখে সংসদের বাইরের দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার মিত্ররা ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, বর্তমান সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এ ছাড়া বলছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হতে পারবে না। পক্ষান্তরে, সরকারের পক্ষ থেকে জোরের সঙ্গেই বরাবর বলা হচ্ছে, তাদের সরকার ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচনে যাবে। ইভিএম ব্যবহারের অনুকূলেও রয়েছে তারা। এমন অবস্থায় আমরা একটি অচলাবস্থা লক্ষ করছি।


তবে অবস্থানের কিছুটা পরিবর্তন নজরে আসে পশ্চিমা বিশ্বের আমাদের নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে অব্যাহত বিভিন্ন প্রয়াসে। তারা মানবাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও সোচ্চার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা র‍্যাব ও তার কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক হলেও বাস্তব। ঠিক তেমনি সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থতার জন্য আফ্রিকার একটি দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করেছে অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা। জ্ঞাত-অজ্ঞাত কারণে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাশ্চাত্য বিশ্বের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি এড়িয়ে চলছিল। তবে মনে রাখতে হবে, রপ্তানি–বাণিজ্যের কার্যত সিংহভাগ অংশীদার পশ্চিমা বিশ্ব। তাই তাদের আস্থায় রাখার প্রয়োজনীয়তা আলোচনার অপেক্ষা রাখে না। সর্বোপরি মানবাধিকার কিংবা অংশগ্রহণমূলক নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে তাদের পরামর্শগুলো আমাদেরও জাতীয় দাবি। সঠিক নির্দেশনা দেওয়া কিংবা জাতিকে সংগঠিত করার মতো রাজনৈতিক শক্তির অনুপস্থিতির সুযোগে আমাদের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী সংস্কৃতি দৈন্যদশায় পড়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও