কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দেরি হবে যত, ক্ষতি হবে তত

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটটি নির্বাচনকেন্দ্রিক। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারাধীনে সম্পন্ন করে এ সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনের পর মধ্য ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করে দলীয় ব্যবস্থাধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। কারণ, এ ব্যবস্থাধীনে নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী বিশাল ক্ষমতাধিকারী হয়ে ক্ষমতাসীন থাকবেন। মন্ত্রী এবং এমপিরা অনেক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ক্ষমতায় থাকবেন। জাতীয় সংসদ ভাঙা হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সরকারের মনপছন্দ লোকজন দিয়ে। আর নির্বাচন করার জন্য প্রশাসনের যেসব সদস্যকে ব্যবহার করা হবে তারা হবেন দলীয়করণকৃত। তারা সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনের কাজ করবেন, যে সরকারের হাতে তাদের পদোন্নতি, বদলি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছিল। ফলে তারা কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন তা অনুমেয়। এমনই ব্যবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনীর যোগসাজশে অনেক ক্ষেত্রে রাতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়ে যায়। ফলে দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনটিও কালিমালিপ্ত হয়ে পড়ে। দেশে এবং বিদেশে নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। অনেকে ভেবেছিলেন সরকার হয়তো পরবর্তী সময়ে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে। কিন্তু তা না করে ওই নড়বড়ে নির্বাচনের ওপর ভর করে সরকার মেয়াদ শেষ করতে চলেছে। আগামী বছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে একইভাবে অনুষ্ঠিত হলে ওই নির্বাচনের ফলাফল কী হবে, তা অনুমান করা যায়।

বিরোধী দলগুলো বুঝতে পেরেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনটি বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের সমর্থন পেলেও লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন এবং পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যদের অঘোষিত ডিকটেশন অনুযায়ী কাজ করিয়ে সরকারি দলের পক্ষে নির্বাচন জেতা কষ্টকর হবে না। আর নির্বাচন ইভিএমে করা হলে তো সোনায় সোহাগা। সরকার নীরবে-নিঃশব্দে সব আসনেই ডিজিটাল ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে জিততে পারবে। কারণ, এ মেশিন যে হ্যাকপ্রুফ, তা প্রযুক্তিবিশারদদের দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে সুনিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইভিএমে কাগজের ব্যবহার নেই। ভোট পুনঃগণনার ব্যবস্থা নেই। প্রযুক্তি অসচেতন ভোটাররা এ মেশিনে ভোট দিতে আগ্রহী না হলেও সরকার এবং সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দলগুলোই কেবল ইভিএমে ভোট চাইছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল ও অন্য সব দল ইভিএমে ভোট চান না। নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল পরিস্থিতি অনুধাবন করে শপথ নেওয়ার পর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কাজ সহজ হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন