কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদ হোক অনেক আশা ও ভালোবাসার

বাংলা ট্রিবিউন রেজানুর রহমান প্রকাশিত: ০৩ মে ২০২২, ১২:৪৭

এক হিসেব মতে এবার ঈদ উপলক্ষে প্রায় সোয়া কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। নাড়ির টানে বাড়ি গেছে সবাই। বাড়ি কোথায়? সহজ উত্তর– সবার বাড়ি গ্রামে। শহর ছেড়ে গ্রামে গেছে মানুষ। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে দেখা দিয়েছে বাড়তি আনন্দ। কেউ বা বহুদিন পর ছেলে-মেয়েকে কাছে পেয়ে আনন্দে বিভোর। কারও পরিবারে নাতি, নাতনীর আগমন ঘটায় আনন্দে মশগুল। এক বছরের প্রতীক্ষা ছিল সবার। কখন আসবে ঈদ। কখন আসবে প্রিয়জনেরা। খালি ঘরগুলো ভরে যাবে। পরিবারজুড়ে দেখা দেবে আনন্দের ঢেউ। আহা! কী আনন্দ, কী আনন্দ।


করোনার আতংক ছাপিয়ে দুই বছর পর এবার প্রথম কোনও বিধি-নিষেধ ছাড়াই ঈদে ঘরমুখো হয়েছেন শহরে বাস করা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। কী যে এক দুঃসহ জীবন পার করতে হয়েছে। প্রকাশ্যে ঈদের আনন্দ করতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। কোলাকুলিও ছিল নিষিদ্ধ। প্রিয়জন অথবা পরিচিত কাউকে দেখলেই আমরা সৌজন্যতা প্রকাশের জন্য হাত বাড়িয়ে দেই। কেমন আছেন বলে অন্তরের মায়া ছড়িয়ে দেই। অথচ করোনাকালে নিজের হাতের প্রতিও বিশ্বাস রাখা যায়নি। হাত নাকি বিষ ছড়ায়। সে কারণে প্রিয়জনের সাথে হাত মিলাইনি বহুদিন। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের উপর দয়া করেছেন। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় এবার শুধু পরস্পরের সাথে হাত মিলানো নয় ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলিও করতে পারবো। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি আমরা। এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।


ঈদ আমাদের দেশে সর্ব প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সে কারণে সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করে হলেও সবাই পরিবারের সাথেই একত্রিত হতে চায়। এজন্য সারা বছরের অপেক্ষা থাকে। অনেকে এ জন্য টাকা জমায়। আর্থিক কষ্টের মধ্যেও নতুন জামা-কাপড় কিনে পরিবারের সবার জন্য। বাবার পাঞ্জাবি, মায়ের শাড়ি, বোনের জন্য সালোয়ার কামিজ, স্ত্রী, সন্তানের জন্য শাড়ি, ঈদের পোশাক কেনার মধ্যেই আনন্দ খোঁজে। এটাই বাঙালি মুসলমান পরিবারের হাজার বছরের সংস্কৃতি। এই ডিজিটাল যুগে এটি যেন নতুন রুপ পেয়েছে। আগেকার দিনে দর্জি বাড়ি গিয়ে নতুন কাপড়ে বানানোর অর্ডার দিতে হতো। শাড়ি বাদে সব ধরনের পোশাকই বানিয়ে দিতো দর্জি। আর এখন দর্জি বাড়ি না গেলেও চলে। বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে দোকানে রয়েছে মন পছন্দের রেডিমেড পোশাক। মার্কেটে যেতে মন চাইছে না তাহলে ঘরে বসেও নতুন পোশাকের অর্ডার করা যায়। চাহিদা মাত্র কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে যাবে নতুন পোশাক। ঈদে নতুন পোশাকের পাশাপাশি ভালো খাবারের আকর্ষণ থাকে বেশি। এজন্য গৃহিনীদের সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়। ডিজিটাল যুগে এটাও সহজ হয়ে গেছে। অনলাইনে অর্ডার করলেই হাজির হবে ধোয়া উড়ানো গরম খাবার। আর কী চান আপনি? নিজের হাতে খাবার মুখে তুলে দিতে চান না এইতো? আশাকরি আপনার এই আকাঙ্ক্ষাও পূর্ণ হবে একদিন। নিজের হাতে খাবার খেতে হবে না। রোবট রূপি মানুষই হয়তো আপনার মুখে খাবার তুলে দেবে। তবে সেটা মানুষের জন্য কতটা কল্যাণকর হবে এটাই বড় প্রশ্ন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও