হাত বাড়িয়ে ডাকছে তেঁতুলিয়া
উত্তরের প্রবেশদ্বার, সবুজ চায়ের সমাহার, হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া জুড়েই এখন চায়ের সৌন্দর্য। তিনদিকে ভারতীয় সীমান্ত বেষ্টিত শান্তিপ্রিয় এই ছোট্ট উপজেলা শহর যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
প্রতি ঈদে পর্যটকরা পরিবার নিয়ে তেঁতুলিয়ায় ঘুরতে যান। মহানন্দার পাড়ে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেন ভারতের দার্জিলিং আর হিমালয়ের সৌন্দর্য। সুশীতল ছায়াঘেরা তেঁতুলিয়ার মনমুগ্ধকর বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘোরেন, মনে প্রশান্তি নিয়ে ফিরে যান পর্যটকরা। অনেকে ঈদের ছুটি কাটাতে বেছে নেন সমতলের চায়ের রাজ্য তেঁতুলিয়া।
পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে মহাসড়কে মাত্র ৩৬ কিলোমিটার দূরত্বেই সর্বোত্তরের উপজেলা শহর তেঁতুলিয়া। ১৮৯.১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেঁতুলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ লোকের বসবাস। তেঁতুলিয়ার উত্তরে ভারতের শিলিগুড়ি, দক্ষিণে পশ্চিম দিনাজপুর এবং পশ্চিমে দার্জিলিং জেলা শহর। রয়েছে ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, রওশনপুরের আনন্দধারা, বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট। সুপ্রশস্থ সড়ক, উন্নত যোগাযোগ, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন, খনিজ পাথর।
বিশেষ করে সমতলে চায়ের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকার পর্যটকদের কাছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া একটি আকর্ষণীয় নাম। ঈদে আগত পর্যটকরা তেঁতুলিয়া ছাড়াও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে বেড়ান।
পর্যটন সম্ভাবনাময় তেঁতুলিয়ায় সাধারণত চুরি, ছিনতাই আর খুনখারাবি নেই। ভ্রমণ পিপাসুদের অনেকে প্রতিবছর ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ছুটে আসেন শান্তির শহর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তেঁতুলিয়া ছাড়াও জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান জেলার পর্যটনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
পঞ্চগড় জেলা শহর থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর হয়ে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত সুবিশাল প্রশস্ত মহাসড়কও একটি পর্যটনস্পটে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সড়কে চলাচলের সময় সড়কের দুই পাশের চা বাগানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের মন কাড়ে।