মূল্যবোধের বাঁকবদল

কালের কণ্ঠ মো. জাকির হোসেন প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২২, ১১:০০

বাংলাদেশের মানুষের মনোজগৎ ও স্বভাব-চরিত্র নিয়ে পরস্পরবিরোধী অন্তত দুটি মত প্রচলিত আছে। একটি মত অনুসারে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বিধৌত শ্যামল পলিমাটির কোমল রসে সিক্ত বাঙালি খুবই সহজ-সরল। নরম প্রকৃতির ও কোমল স্বভাবের। আরেকটি মত হলো, শারীরিক গঠন, ভাষা, সভ্যতা-সংস্কৃতিতে মিল সত্ত্বেও বাঙালির ধমনিতে রয়েছে অস্ট্রিক, মোঙ্গলীয়, দ্রাবিড়, আর্য, পাঠান, মোগল, ইরানি—বিচিত্র রক্তের স্রোতোধারা।


ফলে বিভ্রান্ত, বিপর্যস্ত বাঙালি সমাজে ধর্মীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব, সামাজিক কুসংস্কার, সংকট, লোভ, দাসত্ব ইত্যাদি বারবার আঘাত করেছে। ধর্মীয় গোঁড়ামি আর কুসংস্কারের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক চরিত্রও অনস্বীকার্য। দুটি মতের কোনোটিই পুরোপুরি সত্য বা অসত্য নয়।


বঙ্গবন্ধুকে যখন বিবেচনা করি তখন শিশুর মতো সহজ-সরল একজন বাঙালির অবয়ব দেখি। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, এটা একাধিকবার জানানোর পরও তিনি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কোনো বাঙালি তাঁর সঙ্গে এমন করতেই পারে না। সহজ-সরল ছিলেন বলেই কে শত্রু আর কে মিত্র সেটি বঙ্গবন্ধু চিনতে পারেননি, সরল বিশ্বাসে পুরো জাতিকেই তাঁর সন্তান বলে মনে করেছেন এবং সন্তান যে একদিন পিতাকে হত্যা করবে—এমন ভাবনা বা আশঙ্কা তাঁর মধ্যে কোনো দিনও আসেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কথা জানতে পেরে তাজউদ্দীন স্বগতোক্তি করেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জানতেও পারলেন না কে তাঁর শত্রু আর কে তাঁর বন্ধু ছিল। ’ অন্যদিকে মোশতাক-জিয়া-ফারুক-রশিদ গংয়ের কর্মকাণ্ড যদি বিবেচনা করি, তাহলে ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা, লোভ, দাসত্ব আর সাম্প্রদায়িকতার প্রতিভূ হিসেবেই বাঙালির অবয়ব চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও