কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পোশাকের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার সরগরম

কালের কণ্ঠ কেরানীগঞ্জ প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:০৬

ঈদুল ফিতর ঘিরে জমে উঠেছে দেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টপল্লী। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এ বছর স্বাভাবিক চেহারায় ফিরেছে এই পাইকারি বাজার। ঈদ ঘিরে পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর বাজারে চলছে দরদাম, বেচাকেনা। দুই বছরের ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরাও। কেরানীগঞ্জ উপজেলার আগানগর, পূর্ব আগানগর, নাগরমহল, চরকালীগঞ্জ, খেজুরবাগ ও কালীগঞ্জ এলাকাজুড়ে এই গার্মেন্টপল্লীর অবস্থান।  


দেশের সর্ববৃহৎ এ গার্মেন্টপল্লীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এসব তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক। এখানে সব ধরনের পোশাক তৈরি হলেও এগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশির ভাগ জিন্স প্যান্ট। এসব জিন্স প্যান্ট দেশের বিভিন্ন অভিজাত মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাতেও সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটায়। বর্তমানে এখানকার কিছু কিছু ব্যবসায়ী বিদেশেও তাঁদের তৈরি জিন্স প্যান্ট রপ্তানি করছেন বলে জানা যায়।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পোশাকপল্লীর কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা আসন্ন ঈদুল ফিতরের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কারো যেন একটু দম ফেলার ফুরসত নেই। মেশিনের শব্দ ও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত গার্মেন্টপল্লীর পরিবেশ। কালীগঞ্জ নুরু সুপার মার্কেটের প্যান্ট হাউসের মালিক হাজি মো. সাইদ বলেন, ‘আমাদের এখানে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের আদলে উন্নত মানের প্যান্ট তৈরি করা হয়। লিভাইস, আরমানি, ভারসেস, ব্লু লিভাইসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আদলে প্যান্ট তৈরি করা হয়। তবে এসব প্যান্টের দাম তুলনামূলক কম। দাম কম হলেও মানের দিক দিয়ে সেরা। ’ তিনি আরো বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের এখানের তৈরি পোশাক রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে শোভা পাচ্ছে। ’


কালীগঞ্জ নুরু মার্কেটের দোকান মালিক মো. স্বপন মিয়া বলেন, ‘এ বছর বেচাকেনা ভালো। আশা করছি এ বছর ব্যবসায়ীরা বিগত বছরগুলোর লস কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। আমাদের এই গার্মেন্ট এলাকা থেকে আমরা যে মূল্যে প্যান্ট দিতে পারি, আর কোনো জায়গা থেকে কেউ এই দামে প্যান্ট দিতে পারেন না। তাই আমাদের এখানকার প্যান্টের চাহিদা থাকায় কর্মচারীরা প্রতি প্যান্টের হিসাবে মজুরি নিয়ে থাকেন। ’ 


নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ এলাকা থেকে আসা পাইকার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টপল্লী থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ক্রয় করেছি। এখানে শূন্য থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের পোশাক পাওয়া যায়, যা দেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। ’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও