দিনে লেনদেন ১৭০০ কোটি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১১:২৯

এখন ছোট-বড় কেনাকাটাতে হরহামেশা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার হচ্ছে। বিক্রেতা ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা গ্রহণে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) ব্যবহার করছে। বড়-ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অ্যাপসের মাধ্যমেও ঘরে বসে টাকা লেনদেন করা যাচ্ছে।


এভাবে ডিজিটাল উপায়ে দেশে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা গ্রাহকের কেনাকাটার বিল বাবদ গ্রহণ করছে বিক্রেতা ও সেবাদাতারা। বাকি ৬০০ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে অ্যাপস বা ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ফলে নগদ টাকার ব্যবহার দিন দিন কমে আসছে। এর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটি তথা নগদবিহীন সমাজ হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ নগদ অর্থের লেনদেন কমে ডিজিটাল উপায়ের লেনদেন বাড়ছে। দেশে এসব সেবা চালুর এক দশক হয়ে গেলেও মূলত করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালেই ডিজিটাল লেনদেনে নতুন মাত্রা হয়েছে। যেমন, সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার পুরোটাই এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।


মোটাদাগে ডিজিটাল লেনদেনকে তিন ধাপে ভাগ করা যায়। প্রথমত, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো সেবায় নগদ টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন ছাড়া বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটা ও পরিষেবার বিল পরিশোধ হয় তা সবই ডিজিটাল লেনদেন। দ্বিতীয়ত, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) এবং ই–কমার্স তথা অনলাইনভিত্তিক লেনদেন। তৃতীয়ত, ইন্টারনেট ব্যাংকিং বা অ্যাপসভিত্তিক সেবাও ডিজিটাল লেনদেন।


খাতসংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে এখন ২ লাখ ৭০ হাজারটি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান ও দোকান বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করছে। আর নগদের এ রকম ৩১ হাজার মার্চেন্ট রয়েছে। রকেটেরও আছে কয়েক হাজার মার্চেন্ট। আর ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৯৩ হাজার ৬৬২টি পিওএস বসিয়েছে। পাশাপাশি কিউআর কোডের মাধ্যমেও টাকা গ্রহণ করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে কার্ডের টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কমবেশি ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা চালু করেছে ব্যাংক।


এসব ডিজিটাল লেনদেন সেবার ফলে দেশের নাগরিক জীবনে নগদ টাকার ব্যবহার কমে আসছে। অন্য সব ডিজিটাল লেনদেন বেশি না করলেও মোবাইলে রিচার্জ করাটা এখন অনেকাংশেই মোবাইল ব্যাংকিংনির্ভর হয়ে উঠেছে। আগে নগদ টাকা নিয়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর এজেন্টদের কাছে গিয়ে রিচার্জ করতে হতো। এ ছাড়া গ্যাস–বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধ এবং কাউকে টাকা পাঠানোটা এখন হয়ে গেছে পুরো ডিজিটাল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও