কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশের দশাও কি শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে?

প্রথম আলো মামুন রশীদ প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩৪

শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে সরকার পতনোন্মুখ। দেখা যাচ্ছে, তাঁর ভাই ছাড়া বেশির ভাগ মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, এমনকি নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী, প্রায় সবাই তাঁকে ত্যাগ করেছেন। বিরোধী দলগুলোও তাঁর জাতীয় সরকারে যোগ দিতে রাজি নয়। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি এবং জনগণের ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। এটির কারণ কি অতিরিক্ত বিদেশি ঋণ, দুর্নীতিগ্রস্ত বিরাট প্রকল্পে অর্থায়ন, কিংবা অপরাপর অনেক দেশের মতো রপ্তানি আয়, প্রবাসী আয় কিংবা বিদেশি বিনিয়োগ না থাকা—তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রীলঙ্কাকে খুব পছন্দ করি। শ্রীলঙ্কায় আমার অনেক বন্ধু রয়েছে।


কোভিডকালেও আমি শ্রীলঙ্কায় গিয়েছি। তার আগেও প্রায় প্রতিবছর শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। সিটিব্যাংক এনএতে আমাদের আঞ্চলিক প্রধান প্রয়াত নানু পামনানি বারবার তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ভুলনীতি গ্রহণের কথা বলেও শ্রীলঙ্কার একসময় সিঙ্গাপুর হওয়ার সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিতেন। সাবেক গভর্নর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ফখরুদ্দীন আহমদ ২০০২-০৩ সালে অনেক আগ্রহভরে ‘শ্রীলঙ্কা অ্যাট ২০২০’ প্রতিবেদনটি নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আলোচনায় প্রায় সবটুকুই ছিল শ্রীলঙ্কার অর্থবাজারের গভীরতা এবং তাদের মানবসম্পদের গুণাবলি।


একসময় সামাজিক সূচকে শ্রীলঙ্কা ছিল এ অঞ্চলের সেরা। শিক্ষার গুণাগুণেও ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় পোশাক খাতের রপ্তানি প্রথম শুরু হয়েছিল এই শ্রীলঙ্কা থেকেই। অনেক পর্যটকেরও পছন্দের জায়গা ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে গৃহযুদ্ধ শ্রীলঙ্কাকে আর সামনে এগোতে দেয়নি। নিরাপত্তার অভাবে পোশাক রপ্তানিও আশির দশকে চলে যায় বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও কিছুটা কম্বোডিয়ায়। কমে যায় পর্যটকের সংখ্যাও। পিছিয়ে পড়ে অর্থনীতি। এখন অতিমূল্যস্ফীতির দিকে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না পণ্য। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ বিঘ্নিত। আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। স্থানীয় মুদ্রার মূল্যমানে ধস নেমেছে। শেয়ারবাজারে ঘটেছে ব্যাপক পতন।


অনেক দিন ধরেই দেশটি পড়েছে ঋণের ফাঁদে। সবাই বলছেন, অতীতের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ আর বর্তমানে রাজাপক্ষে পরিবারের গোষ্ঠীতন্ত্র, খামখেয়ালিপূর্ণ সিদ্ধান্ত, ভুল নীতি, ভুল প্রকল্প বাছাই এবং দুর্নীতির কারণেই শ্রীলঙ্কা আজকের এই অবস্থানে।


২০০৬ সালে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর শ্রীলঙ্কার মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি ২০১২ সাল পর্যন্ত ঠিকঠাকই ছিল। সে সময় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৩৬ ডলার থেকে সম্প্রতি তা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮১৯ ডলারে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। দেশটি ২০১৯ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশেও পরিণত হয়েছিল। কিন্তু কোনো অর্জনই ধরে রাখতে পারেনি। প্রবৃদ্ধি কমতে থাকলে পরের বছরেই বিশ্বব্যাংক তাদের নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে নামিয়ে দেয়। এরপর রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবে দেখা দেয় বড় ভারসাম্যহীনতা। শ্রীলঙ্কার রপ্তানি পণ্য মূলত তিনটি—তৈরি পোশাক, চা ও রাবার। এই তিন পণ্যেই আয় কমছিল, কিন্তু বড় ধস নেমেছে মূলত গত দুই বছরে, করোনার সময়ে। সবশেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তাদের সংকট বৃদ্ধি পায় বহুগুণ।
শ্রীলঙ্কার আজকের দুরবস্থার জন্য ২০১৯ সালের দুটি ঘটনাকেই মূলত দায়ী করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও