কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাকিস্তান : কান্ট্রি অব থ্রি ‘এ’

ঢাকা পোষ্ট পাকিস্তান স্বদেশ রায় প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৫

ইমরান আহমদ খান নিয়াজি পাকিস্তানের প্রস্থানের পথের প্রধানমন্ত্রী। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে চায়নায় অনুষ্ঠিত অলিম্পিক উদ্বোধনে ছিলেন। তিনি বয়কট করেছিলেন বাইডেনের গণতান্ত্রিক সম্মেলন। অন্যদিকে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সব ধরনের আলোচনায় বসাকে নাকচ করে দিয়েছিলেন। আবার আমেরিকার অনুরোধকে উপেক্ষা করে তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন শুরুর সময়েই রাশিয়া সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইমরান আহমদ খান নিয়াজি বলতে পারেন, একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার এ অধিকার অবশ্যই আছে; তিনি কী করবেন আর করবেন না। তার দেশের ফরেন পলিসি তিনি নিজেই নির্ধারণ করবেন। কারো কথা মতো নয়। 


পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন শুনতে ভালো লাগে। যে কেউই বলবেন, এ তো তার ন্যায্য অধিকার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান নামক দেশটিতে দাঁড়িয়ে বা তার ক্ষমতায় বসে কি একথা বলা যায়? 


পাকিস্তান নামক দেশটি সৃষ্টি হয়েছিল আল্লাহর নামে। পাকিস্তানের জাতির জনক কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার এক জীবনীকারের কাছে অনেকটা দম্ভ করে বলেছিলেন, তিনি ও তার স্টেনোগ্রাফার ‘আল্লাহ’র নামে মুসলমানদের জন্যে এই দেশ তৈরি করেন।
আর এও সত্য যে, ওই দেশ ১৯৪৭ সালে তৈরি হওয়ার আগে, পাকিস্তান নামক দেশটি তৈরি করতে কেবলমাত্র ১৯৪৬ এর দাঙ্গায় ছাড়া- ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বা সংগ্রামে পাকিস্তানের এই স্রষ্টার কোনো কর্মীর রক্ত দিতে হয়নি। পাকিস্তান যে সময় সৃষ্টি হয় তখন তার দুটি ডানা হয়েছিল। আজকে আমাদের এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশও তার একটি ডানা ছিল।


পাকিস্তান নামক ওই অদ্ভুত রাষ্ট্র থেকে বের হয়ে আসার জন্যে যখন আমরা সংগ্রাম করি, সে সময়ে তারা মহান আল্লাহ তায়ালার নাম ব্যবহার করে এক সাগর রক্ত ঝরিয়েছিল বাঙালির। তাই দেশের রাজনীতিতে সুযোগে ও বিপদে সবসময়ই মহান আল্লাহ তায়ালার নাম ব্যবহার করে পাকিস্তানের রাজনীতিকরা বা ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনী। 


তবে বাস্তবতা হলো, রাজনীতিক কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই দেশ সৃষ্টি করলেও তিনি বা তার রাজনৈতিক দল বেশিদিন এ দেশের ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। দেশটির ক্ষমতায় বেশিরভাগ সময় থেকেছে আর্মি বা সেনাবাহিনীর লোকেরা। বাস্তবে পৃথিবীর ছয় নম্বর শক্তিশালী আর্মির এ দেশটি নিউক্লিয়ার পাওয়ারসহ সাড়ে ছয় লক্ষ সেনাবাহিনীর দেশ। এবং এটা ওপেন সিক্রেট পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মূলত ‘রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র’। এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেনাবাহিনীই সেখানে সবসময়ই ক্ষমতার পূর্ণ অংশীদার না হলে দিক নির্দেশক থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও