কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সিলেট বিএনপি আস্থা রাখল নতুন নেতৃত্বে

নানা আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক ও অনিশ্চয়তাকে পেছনে ফেলে সিলেট জেলা বিএনপি নতুন নেতৃত্বে আস্থা রাখল। প্রথমবারের মতো সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি হলেন আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. শামীম আহমদও প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন কাইয়ুম ও এমরান। পাশাপাশি 'নিখোঁজ' বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর অনুসারীদের আশীর্বাদও তারা পেয়েছেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তাদের বিজয়ের ফলে কতিপয় নেতার 'সাবেক নেতৃত্বকে ফিরিয়ে আনার' ইচ্ছাকে তৃণমূল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন।

২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ কাউন্সিলে প্রত্যক্ষ ভোটে জেলা বিএনপির শীর্ষ তিন পদে নির্বাচন হলেও তাতে ভোটার ছিলেন মাত্র ১৩২ জন। গতকাল মঙ্গলবার ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌর বিএনপির কমিটির এক হাজার ৮১৮ জন ভোটার (কাউন্সিলর) জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পান। নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে সম্মেলন শেষে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাউন্সিলে টানা ভোট গ্রহণ হয়। এরপর আইনজীবী ফোরামের সহযোগিতায় ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমকে ১৯৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন কাইয়ুম চৌধুরী। সভাপতি পদে কাইয়ুম চৌধুরী ৮৬৮ ভোট ও আবুল কাহের ৬৭৫ ভোট পেয়েছেন।

গত ২১ মার্চ জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও আগের দিন কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত করা হয়। এরপর 'হাইকমান্ডের নির্দেশে' সভাপতি পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সঙ্গে আধিপত্য নিয়ে মেয়র আরিফের বিরোধ রয়েছে। এই সুবাদে মুক্তাদির কৌশলে মেয়রকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আনতে চেয়েছিলেন বলে প্রচার হয়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের চাপে সরে দাঁড়ানো মেয়র আরিফের অনুসারীদের ভোট সভাপতি নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছে বলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির এক নেতা জানিয়েছেন।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদও তৃণমূলের রায়ে স্বপদে ফিরতে পারেননি। সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আহমদ ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলী আহমদ পেয়েছেন ৫৭৩ ভোট। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে অপর দুই প্রার্থী আব্দুল মান্নান ও আফম কামাল যথাক্রমে ৮১ ও ৭২ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী মো. শামীম আহমদ পেয়েছেন ৬২৩ ভোট। এই পদে অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব ৪৬৪ ভোট ও লোকমান আহমদ ৪৩৯ ভোট পেয়েছেন। এই কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট আব্দুল গাফফার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গণনা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন